ফাইল ছবি

* ৭ স্তরের মূল্যায়ন স্কেলের পাশাপাশি থাকবে গ্রেডিং সিস্টেম
* সর্বোচ্চ নৈপুণ্যকারী শিক্ষার্থী পাবেন ‘এ প্লাস’
* এরপর যথাক্রমে এ, বি ও সি ইত্যাদি যুক্ত হবে
* বহাল রইল ৫ ঘণ্টার পরীক্ষাও

শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বর্তমানে প্রচলিত জিপিএ-৫ পদ্ধতি উঠিয়ে দিলেও শিক্ষার্থীর পারদর্শিতা (নৈপুণ্য) বোঝাতে চারটি গ্রেডিং পদ্ধতি রাখা হয়েছে। সর্বোচ্চ নৈপুণ্যকারী শিক্ষার্থী পাবেন ‘এ প্লাস’ গ্রেড। এরপর যথাক্রমে এ, বি ও সি ইত্যাদি যুক্ত হবে। কত নম্বরে কোন গ্রেড হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এনসিসিসি ছাড়াও বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।‌

বৈঠক সূত্র জানায়, এনসিটিবির উপস্থাপিত পাবলিক পরীক্ষা মূল্যায়ন কাঠামোতে তেমন কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। শুধু সাতটি স্কেলকে আরও সহজে বোঝার জন্য ইংরেজি বর্ণ যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর মাধ্যমিক স্তরের মূল্যায়ন কাঠামো চূড়ান্ত করার আগে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের ফলাফল দেখার সিদ্ধান্তও হয়েছে।

জানা গেছে, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে। এ পরীক্ষার মূল্যায়নে নম্বর বা গ্রেডের পরিবর্তে পারদর্শিতা (নৈপুণ্য) বোঝাতে  জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) যে সাতটি স্কেলের প্রস্তাব করেছিল, তা রাখা হয়েছে।‌ পাশাপাশি শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক— সবাই যেন শিক্ষার্থীর অবস্থান বুঝতে পারে সেজন্য এখন বলা হচ্ছে প্রচলিত গ্রেডও যুক্ত করা হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে থেকে বিকল্প পদ্ধতি বের করার দাবি ছিল। সেজন্য পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়নের সাতটি স্কেল বোধগম্য করার জন্য আক্ষরিক গ্রেড দিয়ে বিষয়টি উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি কিন্তু আগের মতো সংখ্যার গ্রেডিং নয়। সাতটি স্কেলের সঙ্গে এ প্লাস, এ, বি ও সি ইত্যাদি যুক্ত হবে।

নতুন শিক্ষাক্রম গত বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে বাস্তবায়ন করা হয়। আর চলতি বছর বাস্তবায়ন করা হয় দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এই শিক্ষাক্রম চালু হবে।

এ ছাড়া, শিক্ষাক্রমে মূল্যায়নে ওয়েটেজ ৬৫ শতাংশ এবং কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়নে ৩৫ শতাংশ ওয়েটেজ রাখা, ৫ ঘণ্টার চূড়ান্ত পরীক্ষাসহ ইত্যাদি বিষয়ে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। এখানে কার্যক্রম বলতে বোঝানো হচ্ছে অ্যাসাইনমেন্ট, উপস্থাপন, অনুসন্ধান, প্রদর্শন, সমস্যার সমাধান, পরিকল্পনা প্রণয়ন ইত্যাদি।

সার্বিক বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, সোমবারের সভায় পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়ন কাঠামো চূড়ান্ত হয়েছে। শিগগিরই এর বিস্তারিত প্রকাশ করা হবে। আর ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির মূল্যায়ন কাঠামো ষাণ্মাসিক মূল্যায়ন দেখার পর চূড়ান্ত করা হবে।

এনএম/এমজে