নতুন শিক্ষাক্রমের পরীক্ষা বা মূল্যায়ন ঘিরে একটি রাজনৈতিক অর্থনীতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে সামাজিক চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। এটার রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক দিক আছে। সেখানে কোচিং, গাইড বই, নানান ধরনের শিক্ষা উপকরণ বিক্রির বিষয় রয়েছে। এটা সামনে এলে সেটা নিয়ে বাণিজ্য শুরু হবে।

রোববার (৩০ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখন কিন্তু আমাদের মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চলছে, সেটা শিখনকালীন মূল্যায়ন। আর জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন শুরু হবে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গণিত, বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীরা আনন্দের সঙ্গে মূল্যায়নে অংশ নিচ্ছে। এটাকেই আনুষ্ঠানিকভাবে একটি কাঠামোতে রূপ দেওয়া হবে।

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, আমাদের পুরোনো যে মূল্যায়ন পদ্ধতি বা পরীক্ষা ছিল, সেটাতে পাস-ফেল দেখিয়ে উপরের শ্রেণিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা কমিয়ে ফেলা হতো। যারা কথিত ফেল করতো, তারা একই শ্রেণিতে থেকে যেত। এবার এসএসসি পরীক্ষায় প্রায় ২৩ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নিলো, আমরা সাড়ে ১৬ লাখকে পাস দেখালাম। বাকি প্রায় ৬ লাখ শিক্ষার্থীকে আমরা ফেল বলে দিলাম। কথিত পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা তাদের ছেঁটে ফেললাম। এটার মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীকে নিগৃহীত করলাম, লজ্জা চাপিয়ে দিলাম। এ পদ্ধতি আর রাখা যাবে না।

ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার প্রমুখ।

এনএম/এমজে