রাজধানীর আফতাবনগরের নবেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে 'বিজ্ঞান মেলা ২০২৪' অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ এতে স্কুলের খুদে বিজ্ঞানীদের ২৮টি প্রজেক্টে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির প্রায় ৬০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়৷ প্রজেক্ট পরিদর্শন শেষে সর্বোচ্চ স্কোর অর্জন করা তিনটি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হয়৷

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) নবেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অডিটোরিয়ামে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়৷ প্রধান অতিথি হিসেবে বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন করেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ৷

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, যে কোনো চেষ্টা এক দিনের জন্য নয়৷ উদ্ভাবন ও চেষ্টার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে৷ শুধু পাঠ্য বই নয় বরং বইয়ের বাইরের বিচিত্র বিষয় নিয়েও উদ্ভাবনী চিন্তা করতে হবে৷ তোমরা আজকের ক্ষুদে বিজ্ঞানী কিন্তু আগামীর সম্ভাবনা৷ আগামীর প্রযুক্তিনির্ভর পৃথিবীকে তোমরাই নেতৃত্ব দেবে৷

বিজ্ঞান মেলায় নবেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের চেয়ারম্যান ও আফতাবনগর জহুরুল ইসলাম সিটি সোসাইটির সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন ঢালী বলেন, বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এ প্রজন্মই অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। আজকের খুদে বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবকদের উদ্ভাবনী চিন্তা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চর্চার মাধ্যমেই দেশ পৌঁছে যাবে উন্নতির শিখরে।

তিনি বলেন, আজকের তরুণ সমাজের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে অপার সম্ভাবনা। আমাদের ছেলে মেয়েরা মেধা ও দক্ষতায় অন্য জাতির চেয়ে কোন অংশেই পিছিয়ে নেই। সঠিক দিক নির্দেশনা ও পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলে বিজ্ঞান চিন্তায় উজ্জীবিত এই প্রজন্ম দেশকে নিয়ে যাবে অনন্য উচ্চতায়। এর মধ্য দিয়েই বাস্তবায়িত হবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা। সে লক্ষেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি৷ আমাদের স্কুলটির সূচনালগ্ন থেকেই বিজ্ঞান পাঠ ও চর্চায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে৷

প্রকল্পে সহায়তা করায় তিনি স্কুলটির শিক্ষকদের ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, আমাদের শিক্ষকরা আগামী প্রজন্মের যোগ্য প্রতিনিধি গড়ে দিতে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করছেন৷ আজকের এই বিজ্ঞান মেলায় তাদের মেধা, পরিশ্রম ও সহযোগিতার এক দারুণ সমন্বয় হয়েছে৷

এবারের বিজ্ঞান মেলায় যেসব প্রজেক্ট প্রদর্শন করা হয় 

ফায়ার ডিটেক্টর, ইলেক্ট্রো ম্যাগনেট, গ্রিন হাউস, ভলকানো, গ্লোবাল ওয়ার্মিং, সৌরজগৎ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ, আর্থকোয়াক ডিটেক্টর, কন্ট্রোলিং ফ্লড এন্ড ইটস ইফেক্ট, ওয়াটার ফিল্টার, স্মার্ট হোম সিস্টেম, ডিজিটাল সেচ পাম্প, ফিল্টার- এয়ার কুলার, ইলেকট্রিক হোম, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, টারবাইন, হারভেস্টার, স্মার্ট সিটি, ওয়াইন্ড মিল, ফেইজ অব দ্য মুন, ড্রোন৷

উল্লেখ্য, রাজধানীর আফতাব নগরে বিশ্বমানের এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে একই ছাদের নিচে সকল সুযোগ-সুবিধা৷ অভিজ্ঞ শিক্ষক মণ্ডলীর পাশাপাশি, খেলার মাঠ ও সুইমিং পুল, প্রযুক্তি নির্ভর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ক্লাসরুম, ধর্মীয় শিক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও পানীয়, ডিজিটাল হাজিরা, সমৃদ্ধ পাঠাগার ও ল্যাব, ধূমপানমুক্ত ক্যাম্পাস, অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময়, এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসরণ, দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা এবং ট্রান্সপোর্ট সুবিধাসহ অত্যাধুনিক ও বিশ্বমানের সকল সুবিধা।

এমএম/এমএসএ