গত ১২ মে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। সেই ফলে এফ গ্রেড অর্থাৎ ফেল ছিল এমন সাতজন শিক্ষার্থী খাতা চ্যালেঞ্জ সর্বোচ্চ গ্রেড জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এমন ঘটনা ঘটেছে যশোর শিক্ষাবোর্ডে। বিষয়টিকে রীতিমতো বিস্ময়কর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

মঙ্গলবার (১১ জুন) যশোর শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়।

পুনর্নিরীক্ষণের ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এ বোর্ডে মোট ২৮১ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। তাদের মধ্যে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১১৫ জন। আর ফেল থেকে নতুন করে পাস করেছেন ৫৯ জন। বাকিদের বিভিন্ন গ্রেডের ফল পরিবর্তন হয়েছে।

শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন নতুন করে মূল্যায়ন করা হয়নি। চ্যালেঞ্জ হওয়া ভাতার চারটি দিক দেখা হয়। এগুলো হলো-উত্তরপত্রের সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে উঠানো হয়েছে কি না ও প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কি না। এসব পরীক্ষা করেই পুনর্নিরীক্ষার ফল দেওয়া হয়। তবে পরীক্ষক কোনো প্রশ্নের উত্তরের জন্য যে নম্বর দিয়ে থাকেন সেটি পরিবর্তনের সুযোগ নেই।

যেমন- পরীক্ষক একটি প্রশ্নের উত্তরের জন্য ৬ নম্বর দিয়েছেন; সেটি ভুলবশত ৩ নম্বর হিসেবে গণনা করা হলো; এ ধরনের ভুল সংশোধন করা হয়। এক্ষেত্রে কোনোভাবে যাতে পরীক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা বিবেচনায় রাখা হয়। কিন্তু এই ৬ নম্বরের স্থলে ৮ করার সুযোগ নেই।

ফেল থেকে জিপিএ-৫ এটা পরীক্ষকদের চরম গাফলতি কি? জানতে চাইলে যশোর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহীন আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এটা গাফলতি তো বটেই। এজন্য আমরা প্রায়ই পরীক্ষকদের নানা ধরনের শাস্তি দিয়ে থাকি। এটা কেন হয়েছে তার কারণ উৎঘাটন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতি বছর এই ঘটনা ঘটছে। কিন্তু এটার সংশোধন করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় না। বিপুলসংখ্যক পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তনের পেছনে পরীক্ষকদের গাফিলতি রয়েছে বলে মনে করছেন বোর্ড কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুনর্নিরীক্ষণে নতুন করে কোনো উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয় না। শুধু উত্তরপত্রে শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের যোগ-বিয়োগগুলো দেখা হয়। এতেই এতো সংখ্যক শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। এটা শুধু পরীক্ষকদের গাফিলতির কারণে হয়।

এনএম/জেডএস