চট্টগ্রামের একটি স্কুলের দুই শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও পেয়েছে জিপিএ-৫। ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর এ তথ্য জানাজানি হয়। একটি বিষয়ের পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকার পরেও জিপিএ-৫ পাওয়াকে নজিরবিহীন ঘটনা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। মাধ্যমিকে আইসিটি বিষয়ে নৈর্ব্যক্তিক ও ব্যবহারিকে ২৫ নম্বর করে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই বিষয়ের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা ছিল। ৩০ মিনিটের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় কেন্দ্রেই উপস্থিত হয়নি দুই শিক্ষার্থী। অথচ গত ১২ জুন প্রকাশিত এসএসসির ফলাফলে দেখানো হয়, তারা দুজনই আইসিটি বিষয়ের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে।

প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, দুজনেই তাদের ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দেখিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্র (বাঁশখালী-০১) থেকে নম্বরপত্র পাঠানো হয়। একইভাবে অনুপস্থিত দুই শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র জমা না হওয়া সত্ত্বেও তত্ত্বীয় (নৈর্ব্যক্তিক) পরীক্ষায়ও সর্বোচ্চ নম্বর দিয়ে তাদের জিপিএ-৫ পাইয়ে দেন বোর্ড পরীক্ষকরা।

বোর্ড চেয়ারম্যান বলছেন, পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে দুই শিক্ষার্থীর জিপিএ-৫ পাওয়ার ঘটনায় পরীক্ষা কেন্দ্র ও আমাদের বোর্ড কর্মকর্তাদের গাফিলতি রয়েছে। মূল পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারলেও ওই দুই শিক্ষার্থীর ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর পাঠানো হয় স্থানীয় পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে। এ অবস্থায় বোর্ড পরীক্ষকরা বিষয়টি যাচাই না করে তত্ত্বীয় (নৈর্ব্যক্তিক) পরীক্ষায়ও তাদের জিপিএ-৫ পাইয়ে দিয়েছেন।

বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর রেজাউল করিম বলেন, ‘পুরো বিষয়টিতে যে বা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ‘দ্য ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি অ্যাডুকেশন অর্ডিন্যান্স, ১৯৬১’ অনুযায়ী বোর্ড নিজে ব্যবস্থা নেবে। প্রয়োজনে ফৌজদারি ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে।’

বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্রসচিব রতন চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে পরীক্ষার দিন ওই দুই শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। তারা সেদিন কেন্দ্রেও আসেনি। আমরা দুই শিক্ষার্থীর অনুপস্থিতির তথ্য পরীক্ষার দিনই বোর্ডে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু পরীক্ষায় অংশ না নেওয়া ওই দুই শিক্ষার্থী কীভাবে জিপিএ-৫ পেল তা বুঝতে পারছি না।

এমআর/এমএ