কারিগরি জটিলতায় কারণে চলমান একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। নতুন সময় অনুযায়ী, ভর্তিচ্ছুরা আগামী ১৩ জুন রাত ৮টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। আগের ঘোষিত সময় অনুযায়ী, ১১ জুন প্রথম ধাপের আবেদন করার সময় শেষ হওয়ার কথা ছিল।

সোমবার (১০ জুন) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৬ মে শুরু হওয়া এ আবেদনের শেষ সময় ছিল ১১ জুন পর্যন্ত। এখন তা দুই দিন বাড়ল।

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণির ভর্তির জন্য এখন পর্যন্ত সাড়ে ১২ লাখের বেশি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন করেছেন। তারা ৬৬ লাখ ৩০ হাজার ৬৬৪ ইএসভিজি চয়েস (কলেজ পছন্দ) দাখিল করেছেন। এর মধ্যে পেমেন্ট সম্পন্ন করেছেন ১২ লাখ ৯ হাজার ৬১৫ আবেদনকারী।

ঢাকা শিক্ষাবোর্ড ও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ওয়েবসাইটে থেকে শনিবার (৮ জুন) রাত ১১টা পর্যন্ত এ আবেদন করেছেন ১২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮ জন। এরপর এখন পর্যন্ত কতজন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন সেই তথ্য এখন হাতে আসেনি বলে জানান কর্মকর্তা। এ সময়ের মধ্যে আরও ১ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর আবেদন করেছেন ধরে নিয়ে সেই হিসাবে এ আবেদনের সংখ্যা সাড়ে ১৩ লাখ। কিন্তু চলতি বছর এসএসসিতে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। সে হিসাবে এখন তিন লাখের মতো শিক্ষার্থী আবেদন করেনি। তাদেরকে আবেদনের মধ্যে নিয়ে আনতে সময় বাড়ানো হয়েছে।

চলতি বছরও আগের মতো এবারও একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে কোনো বাছাই পরীক্ষা হবে না। এসএসসি ও সমমানের ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ১৫০ টাকা আবেদন ফি জমা দিয়ে সর্বনিম্ন ৫টি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করতে পারছেন। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবেন, তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে। অবশ্য ঢাকার নটর ডেম কলেজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের মতো শিক্ষার্থী ভর্তি করে থাকে।

একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে এবার রাজধানীর কলেজগুলোতে ভর্তি ফি সর্বোচ্চ সাড়ে ৭ হাজার, ইংরেজি মাধ্যমে সাড়ে ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা বাদে অন্য মেট্রপলিটন এরিয়ায় ৫ হাজার, জেলা শহরে ৩ হাজার এবং উপজেলায় আড়াই হাজার টাকা। এটাই সর্বোচ্চ ভর্তি ফি।

এবার একাদশ শ্রেণিতে ২৫ লাখ আসন থাকলেও এসএসসিতে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার শিক্ষার্থী। সে হিসাবে ৮ লাখের বেশি আসন খালি থাকবে। চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী। এক লাখ ৮২ হাজার ১৩২ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ।

গত মাসে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। সারা দেশে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিযোগ্য আসন আছে ২৫ লাখের মতো।

এনএম/এমএ