নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ (এনডিইউবি) এর কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতাকে তুলে ধরে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প প্রদর্শন করেছেন।

এনডিইউবি কম্পিউটার ক্লাবের সহযোগিতায় মঙ্গলবার মোট ২৫টি দল এ ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে তাদের দলগত কাজ উপস্থাপন করে যার পরিধি ছিল প্রযুক্তিগত অগ্রগতি থেকে শুরু করে সামাজিক প্রভাবের উদ্যোগ পর্যন্ত।

দুপুর সাড়ে ১২টায় এনডিইউবি ওপেন স্পেসে অনুষ্ঠানটি শুরু হয় ফিতা কাটা এবং বিশিষ্ট অতিথিদের স্বাগত জানানোর মাধ্যমে। এসময় অতিথি হিসেবে প্রকল্প পরিদর্শন করেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. ফাদার চার্লস বি. গর্ডন, কোষাধ্যক্ষ ড. ফাদার সুবাস আদম পেরেরা এবং রেজিস্ট্রার ড. ফাদার লেনার্ড শংকর রোজারিও।

অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিএসই বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. শাহীনা সুলতানা, এনডিইউবি কম্পিউটার ক্লাবের মডারেটর এ.এইচ.এম. সাইফুল ইসলাম, কো-মডারেটর হুমায়রা বিনতে রশিদ এবং সিএসই বিভাগের ফ্যাকাল্টি মেম্বাররা। এতে বিচারক হিসেবে ছিলেন আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের বায়েজিদ আহমেদ ভূঁইয়া।

বিকেলে প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর ড. চার্লস বি. গর্ডন বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন এবং বিশ্ব গঠনে তাদের কল্পনার শক্তিকে স্বীকৃতি প্রদানে সবার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সত্যিকারের উদ্ভাবন শুরু হয় কল্পনার স্ফুলিঙ্গ হিসেবে, সম্ভাবনার নতুন দুয়ার হিসেবে। তবে আইডিয়াকে বাস্তবে রূপান্তর করার মধ্যেই আসল যাদু প্রকাশ পায়। আমাদের শিক্ষার্থীরা এর উদাহরণ তৈরি করছে। আসুন আমরা কেবল তাদের কৃতিত্বের প্রশংসাই নয়, বরং আমাদের বিশ্বকে গঠন করার জন্য কল্পনার শক্তিকেও স্বীকৃতি দিই যেন তাদের ধারণা বাস্তবে পরিণত হয়।

প্রকল্প পরিদর্শনকালে কোষাধ্যক্ষ ড. ফাদার সুবাস আদম পেরেরা অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের চমৎকার উদ্ভাবনী কাজের প্রশংসা করেন। এময় তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দ্বারা উপস্থাপিত প্রজেক্টগুলোতে আমরা সৃজনশীলতা এবং ত্যাগের চূড়ান্ত রূপ প্রত্যক্ষ করছি। এটি আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অসীম সম্ভাবনার দিককে নির্দেশ করে। উদ্ভাবনী এ প্রজেক্ট শো-তে যোগ দিতে পেরে আমি আনন্দিত।

নটর ডেমের শিক্ষার্থীরা আগামীর বিশ্ব তৈরি করবে উল্লেখ করে রেজিস্ট্রার ড. ফাদার লেনার্ড শংকর রোজারিও বলেন, আমাদের উদ্ভাবনী কাজ এবং আবিষ্কার একটা স্পষ্ট ধারণা দেয় যে, এর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা কেবল ভবিষ্যতই গঠন করবে না বরং পরবর্তী বিশ্বও তৈরি করবে। প্রজেক্ট শো-তে উপস্থাপিত প্রতিটি প্রকল্পই তাদের বুদ্ধিমত্তার প্রমাণ। আসুন আমরা আমাদের ছাত্রদের আগামীর বিশ্বের স্থপতি হতে সহযোগিতা করি।

জেডএস