সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার বিষয়ে সুপারিশ করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। সেই সুপারিশের আর কার্যকারিতা নেই জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, আমি তাদের (চাকরিপ্রার্থী) দিকটি বিবেচনা করে সুপারিশ করেছিলাম। কিন্তু এ বিষয়ে সংসদে কথা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত এসেছে। সুতরাং আমার সুপারিশের কার্যকারিতা নেই এখন।

রোববার (১২ মে) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রকাশিত ফলের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, কিছু চাকরিপ্রার্থী বিষয়টি নিয়ে অনুরোধ করেছিলেন। আমি কিছু কিছু বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনাকালে মনে হয়েছিল যে, এ বিষয়ে একটা সুপারিশ করা যেতে পারে। কিন্তু সেই সুপারিশ পত্রকে পুঁজি করে অনেকেই জল ঘোলা করার চেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী জাতীয় সংসদে পরিষ্কার করে বলেছেন যে, সরকারের বা রাষ্ট্রের নীতিগত সিদ্ধান্ত কী। এই বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়ে এই মুহূর্তে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেই... সেটি তিনি বলে দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সেই সুপারিশ পত্রকে পুঁজি করে একটি পক্ষ সংঘাতমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। সেখানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। আমি তাদের বলব, তারা একটি খারাপ কাজ করার চেষ্টা করছেন। এখানেই বিষয়টির সমাপ্তি ঘটেছে।

মন্ত্রী বলেন, আমার সুপারিশ পত্রের কার্যকারিতা এখন আর নেই। এটি নিয়ে জলঘোলা করে নানা জায়গায় দাঁড়িয়ে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা কখনোই কাম্য না। আমি আলোচনা করে জানতে পেরেছি যে, মাত্র এক শতাংশ শিক্ষার্থী ৩০ বছর বয়সে চাকরি পাচ্ছেন। যেখানে এক শতাংশ মাত্র, সেখানে ৩৫ করলে আর কতই-বা বাড়বে? সেটি পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।

এমএম/কেএ