ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সে লক্ষ্যে ডিপ্লোমাধারীরা কোথাও ন্যূনতম দুই বছর চাকরির অভিজ্ঞতা বা চাকরিরত থাকলে তাদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি দ্রুত ও স্বচ্ছতার সঙ্গে শেষ করতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটি ডিপ্লোমাধারীদের বিএসসি (পাস) সমমান দিতে কাজ করবে। সরকারের এমন উদ্যোগে ক্ষুব্ধ বিসএসসি প্রকৌশলীরা।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএসসি ইঞ্জিনিয়াররা। তারা বলছেন, তাড়াহুড়ো করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া এমন সিদ্ধান্ত হতাশাজনক। এতে শিক্ষাখাতে জটিলতা বাড়বে। অপরদিকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা জানান, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য এটি কল্যাণমুখী সিদ্ধান্ত।

ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের সভাপতি এ.কে.এম.এ হামিদ বলেন, আমাদের একটি বিশাল জনশক্তি রয়েছে। এটিকে জনসম্পদে পরিণত করা দরকার। বিএসসি পাস করতে হলে যেখানে ১২০ ক্রেডিট সম্পন্ন করতে হয়, সেখানে একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারকে ১৬৫ ক্রেডিট পর্যন্ত পড়াশুনা করতে হয়।

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী এস এম মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, এই সিদ্ধান্তটি খুবই দুঃখজনক। বিষয়টিকে গভীরভাবে খতিয়ে দেখতে হবে। হঠাৎ করেই এমন কমিটি গঠন করে দেওয়ার বিষয়টি খুবই হতাশাজনক।

তিনি আরও বলেন, ডিপ্লোমা ও বিএসসির কারিকুলামে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। এছাড়া, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা মোট ১৪ বছর অধ্যয়ন করে থাকেন, কিন্তু বিএসসি ইঞ্জিনিয়াররা ১৬ বছর অধ্যয়ন করে থাকে।

প্রসঙ্গত, বিএসসি প্রকৌশলীরা এইচএসসি পাশের পর যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪ বছরের কোর্স শেষে ডিগ্রি লাভ করে। অন্যদিকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের এসএসসি পাশের পর কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে ৪ বছর মেয়াদি কোর্স করতে হয়।

এনএম/এমজে