ফাইল ছবি

রমজান মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে নাকি খোলা থাকবে তা এখন উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। এ বিষয়ে আপিল শুনানির জন্য মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দিন ধার্য করেছেন আদালত। এখন প্রশ্ন হলো, আজ সোমবার রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে এবং সে অনুযায়ী কাল থেকে রোজা শুরু হলে ১ম রোজার দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে নাকি বন্ধ থাকবে? 

এ ব্যাপারে শেষ খবর পর্যন্ত সিদ্ধান্ত দিতে পারছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে পুরো বিষয়টি এখন আদালতের আদেশে চলবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, যেহেতু মঙ্গলবার এ বিষয়ে আদালত রায় দেবেন, আশা করছি কালই এটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে। তবে আজ যদি চাঁদ দেখা না যায় আগামীকাল যথারীতি ক্লাস চলবে। আর চাঁদ দেখা গেলে মঙ্গলবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আদালতের আদেশ মানতে হবে।

আদালতের আদেশ যেহেতু এখন পর্যন্ত বন্ধ রাখার পক্ষে, সুতরাং কাল রোজা শুরু হলে প্রথমদিন স্কুল বন্ধ থাকবে বলে মনে করছেন তারা।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত কী? জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের ঢাকা পোস্টকে বলেন, রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে নাকি বন্ধ থাকবে তা এখন নির্ভর করছে উচ্চ আদালতের আদেশের ওপর। আজ যেহেতু আপিল বিভাগ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেননি, তাই হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকবে এমনটা ধরে নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আদালতের আদেশ মানবে। 

তার মানে মঙ্গলবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে? এমন প্রশ্নে জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, ‘নো কমেন্ট’। যেহেতু আদালতের বিষয়, আদালত যেভাবে বলেছেন, সেভাবে চলতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে।

এ বিষয়ে সমাধান চেয়ে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানরা ফোন করছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি)। কিন্তু তারা কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারছেন না।

মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর সৈয়দ জাফর আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, সবাই আপনার মতো একই প্রশ্ন করছে, মঙ্গলবার কী হবে? এই প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ, বিষয়টি আদালতে এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাইকে আদালত যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন সেভাবে চলার অনুরোধ করেন তিনি।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনে রমজানের সময় ১৫ দিন সরকারি-বেসরকারি নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর রমজানের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালু থাকবে বলে জানায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও। উভয় সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক শফিউর রহমান চৌধুরী।

এরপর রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার আদেশ দেন আদালত। হাইকোর্টের আদেশের বিপক্ষে আজ সোমবার সকালে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। বিকেলে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম হাইকোর্টের আদেশ আপাতত বহাল রাখেন। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আপিল শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন। 

এনএম/জেডএস