রমজানেও খোলা থাকবে মাদরাসা
রমজান উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) থেকে সারা দেশের সব মাদরাসায় ছুটি শুরুর কথা ছিল। তবে স্কুল-কলেজের পর অবশেষে মাদরাসার ছুটির তালিকাও সংশোধন করেছে সরকার। এতে ১৫ দিন ছুটি কমানো হয়েছে। নতুন এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২১ মার্চ পর্যন্ত মাদরাসায় ক্লাস-পরীক্ষা চলবে। দেশের ৩টি সরকারি আলিয়া মাদরাসা এবং বেসরকারি ইবতেদায়ী, দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসায় শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) এ বিষয়ে কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের উপসচিব হাছিনা আক্তার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এতে বলা হয়, দেশের তিনটি সরকারি আলিয়া মাদরাসা এবং বেসরকারি ইবতেদায়ী, দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদরাসাগুলোর জন্য ২০২৪ সালের ছুটির তালিকা আংশিক সংশোধনক্রমে ৭ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত ১৫ দিন শ্রেণি কার্যক্রম চালুর রাখার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মতি জ্ঞাপন করা হলো।
মন্ত্রণালয়ের এ প্রজ্ঞাপনের কপি যুক্ত করে অফিস আদেশ জারি করেছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরও। অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জাকির হোসাইনের সই করা আদেশে বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ৭ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত সব মাদরাসায় শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
বছরের শুরুতে প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে রমজানে ৩০ দিন ছুটি রেখে বাৎসরিক ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। ৮ ফেব্রুয়ারি ছুটির তালিকায় সংশোধনী এনে মাধ্যমিক বিদ্যালয় রোজায়ও ১৫ দিন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এরপর একই পথে হাঁটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয় রোজার প্রথম ১০ দিন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে কলেজগুলোও ১০-২৪ মার্চ পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ রোজায় খোলা রেখে বিজ্ঞপ্তি জারির মধ্যেই গত ১১ ফেব্রুয়ারি ছুটির বর্ষপঞ্জি প্রকাশ করে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। তাতে ৭ মার্চ থেকে পুরো রমজানে মাদরাসা ছুটির তথ্য জানানো হয়। এ নিয়ে তখন স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। অবশেষে সরকার রমজানে মাদরাসাও খোলা রাখার নির্দেশনা দিলো।
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে পবিত্র রমজান শুরুর একদিন পর বাংলাদেশে রোজা শুরু হয়ে থাকে। সে হিসাবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বাংলাদেশে আগামী ১২ মার্চ পবিত্র রমজান শুরু হতে পারে।
এনএম/এসএম