ভুয়া ইনডেক্স দেখিয়ে এমপিওভুক্তি, উপপরিচালককে বান্দরবানে বদলি
ভুয়া ইনডেক্স দেখিয়ে এমপিওভুক্ত হয়েছেন রাজধানীর টিঅ্যান্ডটি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মহসিন হোসেন এমন অভিযোগ আসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে। তদন্ত করে এর প্রমাণ পায় মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি।
তদন্তে ভুয়া ইনডেক্স নম্বর দেখিয়ে এমপিওভুক্ত হলেও এর আগে তার কোনো ইনডেক্স ছিল না বলে প্রমাণ পায় কমিটি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই শিক্ষকের বেতন বন্ধ করার পাশাপাশি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে নিয়োগ কমিটিতে জড়িত শিক্ষা অধিদফতরের প্রতিনিধি এবং পরবর্তী সময় এমপিওভুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উপপরিচালক সাখাওয়াত হোসেন বিশ্বাসকে কারণ দর্শাতে বলা হয়।
বিজ্ঞাপন
এদিকে গত সপ্তাহে মাউশির ঢাকা অঞ্চলের উপপরিচালক সাখাওয়াত হোসেন বিশ্বাসকে বান্দরবানে বদলি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় সূত্র বলেছে, টিঅ্যান্ডটি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মহসিন হোসেনের এমপিওভুক্তি নিয়ে অভিযোগ উঠলে তা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরকে। গত ৮ জুন অধিদফতর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠায়। এ অনিয়মের পরিপ্রেক্ষিতে ওই কর্মকর্তাকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়।
এতে বলা হয়, ভুয়া ইনডেক্স নম্বর দেখিয়ে অধ্যক্ষ গত নভেম্বর মাসে এমপিওভুক্ত হয়েছেন। এ পদে এমপিওভুক্ত হওয়ার আগে তার কোনো ইনডেক্স নম্বর ছিল না।
সূত্র আরও জানায়, অভিযোগ প্রমাণ পাওয়ায় অধ্যাপক ড. মো. মহসিন হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অধ্যক্ষের বেতন বা এমপিও সাময়িকভাবে স্থগিত করতে বলা হয়েছে। আর জালিয়াতি করে এমপিওভুক্ত হওয়ায় তার এমপিও কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে অধ্যক্ষকে শোকজ করতে বলা হয়েছে। গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর এসব নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষা অধিদফতরে চিঠি পাঠানো হয়।
এদিকে ইনডেক্স জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় ফাঁসছেন আরও দুই কর্মকর্তা। তারা হলেন, নিয়োগ কমিটির সঙ্গে জড়িত শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের প্রতিনিধি ও এমপিওভুক্তির সঙ্গে জড়িত ঢাকা অঞ্চলের উপপরিচালক। এ দুই কর্মকর্তাকেও কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে তাদের নাম জানা যায়নি।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের জুনে ড. মো. মহসীন হোসেন নিয়োগ পান। একই বছরের ৩০ জুন অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন তিনি। কিন্তু তিনি যে এমপিওভুক্তির ইনডেক্স ব্যবহার করেছেন, তা ভুয়া ও জাল। আসাদুল হক নামে আরেক শিক্ষকের ইনডেক্স নম্বর তিনি ব্যবহার করেন। তথ্য গোপন করে অধ্যক্ষ পদে এমপিওর আবেদন করলে আবেদন ফিরিয়ে দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর। এমপিও না দেওয়ায় উচ্চ আদালতে রিট মামলাও করেন মহসীন।
এনএম/এসকেডি