মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষার খাতা চ্যালেঞ্জ করে শতাধিক পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। এরমধ্যে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৪ জন, ফেল থেকে পাস করেছেন ৩১ জন। আর অন্যান্য গ্রেডে জিপিএ পরিবর্তন হয়েছে ৬৮ জনের।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এ ফল দেওয়া হয়। খাতা চ্যালেঞ্জ করে মোট ৬ হাজার ৯১৭ জন ২১ হাজার ৯৫টি পত্রের আবেদন করেন।  

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেন ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী। পাস করেন ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫২ জন পরীক্ষার্থী। এবার ১১টি শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন হওয়া উত্তরপত্রের চারটি দিক দেখা হয়। এগুলো হলো- উত্তরপত্রের সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে ওঠানো হয়েছে কি না ও প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কি না। এসব পরীক্ষা করেই পুনর্নিরীক্ষার ফল দেওয়া হয়।

তবে, পরীক্ষক কোনো প্রশ্নের উত্তরের জন্য যে নম্বর দিয়ে থাকেন সেটি পরিবর্তনের সুযোগ নেই। যেমন- পরীক্ষক একটি প্রশ্নের উত্তরের জন্য ৬ নম্বর দিয়েছেন; সেটি ভুলবশত ৩ নম্বর হিসেবে গণনা করা হলো; এ ধরনের ভুল সংশোধন করা হয়। এক্ষেত্রে কোনোভাবে যেন পরীক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা বিবেচনায় রাখা হয়। কিন্তু এই ৬ নম্বরের জায়গায় ৮ নম্বর দেওয়ার সুযোগ নেই।

দুই পদ্ধতিতে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষণের ফল জানা যাবে। একটি হলো এসএমএসের মাধ্যমে। এছাড়া নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ঢুকে পরীক্ষার্থীরা ফল দেখতে পারবেন।
 
এনএম/জেডএস