‌‘বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিবন্ধন বিধিমালা-২০২৩’ সংশোধনের দাবি

‌‘বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিবন্ধন বিধিমালা-২০২৩’ সংশোধনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন। সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন সংগঠনের সদস্যরা।

বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যম) নিবন্ধন বিধিমালা অনুসারে আবেদন করে যারা স্মারক নম্বর পেয়েছিলেন তাদের ২০১১ বিধিমালা অনুসারেই নিবন্ধন প্রদানের দাবি জানান তারা।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব জয়নুল আবেদীন জয় লিখিত বক্তব্যে বলেন, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যম) নিবন্ধন বিধিমালা, ২০১১ এর আলোকে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের অধীনে কয়েক হাজার স্কুলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু হাতেগোনা কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিবন্ধন পেলেও কোনো এক অদৃশ্য কারণে সিংহভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই স্মারক নম্বর পাওয়ার পরও নিবন্ধনের আওতার বাইরে থেকে যায়। বারংবার চেষ্টা করেও আবেদন করা প্রতিষ্ঠানগুলো নিবন্ধন নিতে পারেনি। 

এ ব্যর্থতা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, এখনো অধিদপ্তরে হাজার হাজার আবেদনের ফাইল পড়ে আছে। অধিদপ্তর ফাইল ছাড়ছে না, অথচ দোষ চাপানো হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব জি এম জাহাঙ্গীর কবির রানা বলেন, ২০১৬ সালের আবেদন করা কয়েক হাজার ফাইল স্মারক নম্বর দিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে। 

এসব বিষয় নিয়ে তিনি শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, আমাদের দাবি মেনে না নিলে আমরা ২০১১ সালের মতো আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব। ফাইল নিয়ে আমলাদের লুকোচুরি খেলার অবসান ঘটিয়ে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ।

প্রধানমন্ত্রীকে শিক্ষাবান্ধব সরকার উল্লেখ করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি কিন্ডারগার্টেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবদান তুলে ধরে নেতারা বলেন, পিইসিই পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেনের ফলাফল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক ভালো। দেশে বিদেশে প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারের যে সাফল্য ও সুনাম রয়েছে তার প্রায় অর্ধেক অবদানই কিন্ডারগার্টেনসমূহের রয়েছে।

এমএম/এমএ