দেশের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে নিয়মের মধ্যে আনতে ‘বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিবন্ধন বিধিমালা’ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই বিধিমালাকে  গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।

শনিবার (১১ নভেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ বিধিমালা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়। মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়-১ অধিশাখার উপসচিব আক্তারুন্নাহারের স্বাক্ষর করা বিধিমালাটি সোমবার (১৩ নভেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন্স বিভাগ থেকে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

বিধিমালায় স্কুলের প্রাথমিক অনুমোদন, নিবন্ধন, নবায়ন, শিক্ষক নিয়োগ, ভবনের জমির আয়তন, তহবিল গঠন ও পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।

নতুন এ বিধিমালা অনুযায়ী– দেশে যেসব কিন্ডারগার্টেন, নার্সারি, কেজি ও প্রিপারেটরি স্কুল রয়েছে, সেগুলো ‘বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ হিসেবে অভিহিত হবে। স্কুলে পাঠদান শুরু করতে অনুমতিপত্র লাগবে। অনুমতি পাওয়ার এক বছরের মধ্যেই যথাযথ নিয়ম মেনে নিবন্ধন করতে হবে।

রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলিতে ভাড়া বাসা নিয়ে কিন্ডারগার্টেন স্কুল খুলে বসেন অনেকে। আলো-বাতাস ঢোকে না এমন ক্লাসরুমে পাঠদান করানো হয়। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য জায়গাও থাকে না।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা ‘বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিবন্ধন বিধিমালা’ অনুযায়ী যেখানে-সেখানে চাইলেই স্কুল খোলা যাবে না। ঢাকাসহ দেশের মহানগর এলাকায় স্কুল চালু করতে কমপক্ষে আট শতক জমির ওপর ভবন থাকতে হবে।

নতুন বিধিমালার ১৯ নম্বর ধারায় ‘বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভূমি ও ভবন’ শিরোনামে এ বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। এ ধারার বর্ণিত নিয়ম অনুযায়ী– ভাড়া কিংবা স্থায়ী ভবনে হোক, মহানগর এলাকায় ন্যূনতম আট শতক, পৌরসভায় ১২ শতক এবং অন্য এলাকায় ৩০ শতক জমির ওপর নির্মিত হতে হবে। ভবন ও ভূমি ভাড়া নেওয়া যাবে।

এ ধারার উপবিধি-৩-এ বলা হয়েছে, প্রত্যেক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক শ্রেণিকক্ষ এবং যতদূর সম্ভব প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকদের কক্ষ থাকতে হবে।

জমি ও ভবন ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রমাণ হিসেবে বিদ্যালয়ের নামে কমপক্ষে তিন বছরের জন্য ৩০০ টাকা বা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোনো মূল্যের নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে ভাড়ার লিখিত চুক্তি থাকতে হবে।

কিন্ডারগার্টেন স্কুল নিয়ন্ত্রণে গত ফেব্রুয়ারিতে উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিধিমালা প্রস্তুত করে তা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সবশেষ আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়। এসআরও নম্বর পাওয়ার পর বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।

এনএম/এসএসএইচ