বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্ব বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) দিয়ে পরিপত্র জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ পরিপত্রটি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে লক্ষ্যে আগামী ২১ নভেম্বর (মঙ্গলবার) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সভা ডাকা হয়েছে। 

রোববার (১২ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ সুহেল মাহমুদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা গেছে, এ সভায় অংশ নিতে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের দুইজন অতিরিক্ত সচিব, এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং ঢাকা অঞ্চলের উপ-পরিচালককে বলা হয়েছে।

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালা ২০০৬ সংশোধনের পর ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর জারি করা ওই পরিপত্রে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এনটিআরসিএকে। ওই পরিপত্রে শিক্ষক নিয়োগের অনুসরণীয় পদ্ধতিও নির্ধারণ করা হয়েছিল। 

ওই পরিপত্র অনুসারে প্রতি বছর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষক নিয়োগযোগ্য পদে চাহিদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। যা জেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে প্রতি বছর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এনটিআরসিএতে পাঠানোর নির্দেশনা ছিল। প্রতি বছর প্রার্থী বাছাইয়ের পরীক্ষা (নিবন্ধন পরীক্ষা) গ্রহণ করে জাতীয়, বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও থানাওয়ারী মেধাক্রম প্রণয়ন করে ফল ঘোষণার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিলো এনটিআরসিএকে।

ওই পরিপত্রে বলা হয়েছিল, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়োগের জন্য প্রার্থী নির্বাচনের সময় উপজেলা মেধাতালিকায় অগ্রাধিকার পাবে। উপজেলায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে জেলা মেধাতালিকা এবং তাও না পাওয়া গেলে বিভাগীয় মেধাতালিকা ও সর্বশেষ জাতীয় মেধাতালিকা অনুসরণের নির্দেশনা ছিল।

এনএম/কেএ