নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে অ্যাপ নৈপুণ্য উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে অ্যাপটির উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

নৈপুণ্য অ্যাপ সম্পর্কে অনুষ্ঠানে বলা হয়েছে, এই অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ফলসহ যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ করা হবে। শিক্ষার্থীরা তাদের আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে এতে প্রবেশ করতে পারবে এবং প্রয়োজনীয় সব তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবে।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, প্রতিটি কাজের যে গুরুত্ব আছে, শিক্ষার্থীরা সেটি শিখছে, অনুধাবন করছে। অসম্ভব দ্রুতগতির পরিবর্তনশীল বিশ্বে শুধু খাপ খাওয়ানো নয়, দেশকে একটি শক্তিশালী নেতৃত্বের জায়গায় নিয়ে যাওয়া আমাদের লক্ষ্য। আমাদের সন্তানদের সেভাবে তৈরি করতে চাই। সেজন্য তাদের প্রকৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা দরকার। ভাষার যোগ্যতা, দক্ষতা দরকার। তারা বাঙালি হবে, একই সঙ্গে বিশ্ব মানব হবে। এরই মাধ্যমে শিক্ষায় রূপান্তর ঘটবে।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল বলেন, আমাদের প্রচলিত শিক্ষা কাঠামোয় পরীক্ষানির্ভর হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ফলনির্ভরতা ছিল। তবে, নতুন শিক্ষাক্রমে ফলনির্ভরতা রাখা হয়নি। ফলে শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাক্রমে আরও বেশি শিখতে পারবে। তিনি বলেন, হেফজ সিস্টেমে যারা মুখস্থ করছেন, তারা কিন্তু ভাষা শিখতে পারছেন না। যে কারণে নতুন শিক্ষাক্রম এসেছে। এখানে শিক্ষার্থীদের শুধু পাঠদান করার মধ্যেই শিক্ষা আবদ্ধ থাকবে না বরং শিক্ষার্থীরা নিজেরা তা সঙ্গে সঙ্গে করে দেখাবে।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, নাট্যনির্দেশক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, সাংবাদিক ও কলামিস্ট সুভাষ সিংহ রায়সহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ বিভিন্ন বোর্ড ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই অ্যাপ নির্মাণে সহযোগিতা করেছে এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)। অনুষ্ঠানে এটুআই কর্মকর্তারা জানান, নৈপুণ্য অ্যাপ হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ব্ল্যাক বক্স। ভবিষ্যতে কোনো তথ্য দরকার হলে এই অ্যাপ থেকে সহযোগিতা পাওয়া যাবে। শিক্ষার্থীরা যা-ই অর্জন করবে, তার রেকর্ড এখানে থাকবে। শিক্ষার্থীদের তথ্য এই অ্যাপে সংরক্ষণ করা যাবে। শিক্ষার্থীরা তাদের অর্জন যে কোনো সময় এই অ্যাপে দেখতে পারবে। এটি শিক্ষা ব্যবস্থার একটি বড় মাইলফলক হয়ে থাকবে।

এনএম/এমএ