সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে প্রধান শিক্ষক পদে আরও ১৮৭ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। মানিকগঞ্জ জেলার মানিকগঞ্জ সদর, শিবালয়, সিঙ্গাইর ও হরিরামপুর উপজেলা থেকে তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

সারা দেশে সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির অংশ হিসেবে এ পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। নভেম্বর মাসেই মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ ও কুড়িগ্রাম এই তিন জেলা থেকে ৩২৪ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১ নভেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তাদের পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কবির উদ্দিনের সই করা আদেশে বলা হয়, মানিকগঞ্জ জেলা সদর, শিবালয়, সিঙ্গাইর ও হরিরামপুর উপজেলা এই ১৮৭জন সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেওয়া হলো। পদোন্নতি পাওয়া প্রধান শিক্ষকদের আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে মানিকগঞ্জ জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এ তারিখের মধ্যে কেউ যোগাযোগে ব্যর্থ হলে তিনি পদোন্নতি যোগ্য নন বলে বিবেচিত হবেন। একই সঙ্গে পদোন্নতির আদেশ বাতিল হবে।

এতে আরও বলা হয়, যোগদানের দুই কার্যদিবসের মধ্যে এ শিক্ষকদের পদায়ন করা হবে। চলতি দায়িত্ব বা ভারপ্রাপ্ত হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া শিক্ষকদেরকে কর্মরত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদেই পদায়ন করতে হবে।

গত ৩ আগস্ট লক্ষ্মীপুরের তিন উপজেলার ২০১ জন সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির মাধ্যমে সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির দীর্ঘসূত্রিতার অবসান হয়। এরপর টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর, সখিপুর, ধনবাড়ি ও বাসাইল এবং কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলা, কুড়িগ্রাম জেলার বুড়িমারি  ও চিলমারি ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পদোন্নতির এ অফিস আদেশ জারি করা হয়। পদোন্নতি কার্যক্রমে মামলার পাশাপাশি সারা দেশের সহকারী শিক্ষকদের গ্রেডেশন তালিকা চূড়ান্ত করা নিয়ে জটিলতা ছিল। সংকট উত্তরণে ‘সমন্বিত গ্রেডেশন ব্যবস্থাপনা’ নামে একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হয়। এরপর ডিজিটাল পদ্ধতিতে গ্রেডেশন লিস্ট চূড়ান্ত করা হয়।

এনএম/এমএ