কওমি মাদরাসা খোলা রাখলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্ত অমান্য করে যারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রাখবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজকে থেকে বিষয়টি মনিটরং করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
এতিমদের যাওয়ার কোনও জায়গা না থাকার কারণে এতিমখানাগুলো খোলা থাকবে জানিয়ে উপমন্ত্রী বলেন, তবে কওমি মাদরাসাগুলোতে আবাসিক-অনাবাসিক যেগুলো আছে তা বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া আছে।
উপমন্ত্রী আরও বলেন, কওমি শিক্ষার সর্বোচ্চ ডিগ্রিকে আমরা জাতীয়ভাবে সম্মান দিয়ে মাস্টার্সের সমমর্যাদা দিয়েছি। তারপরেও যদি এ ধরনের কার্যক্রম চলে তাহলে এটাকে বিবেচনা করে দেখতে হবে আমাদের। অপরাধমূলক কাজ যদি প্রতিষ্ঠানগুলো করতে থাকে বা এখান থেকে কেউ করে থাকে তাহলে তাদের যে ডিগ্রির স্বীকৃতি, সামাজিক স্বীকৃতি, রাজনৈতিক স্বীকৃতিসহ সবকিছুই আমাদের বিবেচনা করে দেখতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে তারা কোন পর্যায়ে আছে তার বিবেচনা করে দেখব। তাদের সরকার নিয়ন্ত্রণ করবে।
এর আগে দুপুর দুইটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এর আগে তিনি একই কেন্দ্রে টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়াসহ চমেক হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
কেএম/এসএম