দেশের ডেঙ্গুর পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এরই মধ্যে রাজধানীর ভিকারুননিসা, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের সচেতন করে ডেঙ্গু মোকাবিলার উদ্যোগ নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। 

এরই অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের দুই মাসব্যাপী সচেতনতামূলক কার্যক্রমে যুক্ত করা হবে। সেই সচেতনতা কার্যক্রমকে মূল্যায়নের আওতায় আনা হবে। ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এ কার্যক্রমে অংশ নেবে।

বুধবার (২৩ আগস্ট) মাধ্যমিক পর্যায়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে সচেতনতামূলক একটি চিঠি পাঠিয়েছে মাউশি। 

চিঠিতে বলা হয়, সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি এবং এর প্রতিকার ও প্রতিরোধ বিষয়ে একটি প্রকল্পভিত্তিক শিখন কার্যক্রম বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে মাউশি। এ কার্যক্রমে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবে। আগামী ৩১ অগাস্ট থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দুই মাস এ প্রকল্পের কার্যক্রম চলবে। এর আওতায় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ডেঙ্গু সম্পর্কে ধারণা অর্জন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাবে। এজন্য প্রতি শ্রেণিতে দল তৈরি করে দিতে বলা হয়েছে, প্রতি দলে ১০ জন করে শিক্ষার্থী থাকবে।

শিক্ষার্থীরা ডেঙ্গু রোগের কারণ, লক্ষণ, বিস্তার, নিরাময়, প্রতিকার, প্রতিরোধ ও ডেঙ্গু রোগীর খাবারের মতো বিষয়ে জানবে। পরে পোস্টার বা প্ল্যাকার্ড তৈরি ও প্রদর্শন করে সচেতনতা সৃষ্টি এবং পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে শিক্ষার্থীরা।

মাউশি জানিয়েছে, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে ইতিহাস এবং সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক, অষ্টম থেকে দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষকরা এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের মূল দায়িত্ব পালন করবেন। শিক্ষার্থীদের কার্যক্রম ষষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের চতুর্থ অধ্যায় ও সপ্তম শ্রেণির পঞ্চম অধ্যায়ের শিখনকালীন মূল্যায়নের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে।

এছাড়া আচরণিক সূচক মূল্যায়নের আওতায় সব শিক্ষকই ডেঙ্গু প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের কার্যক্রমকে মূল্যায়ন করবেন। অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কার্যক্রম মূল্যায়িত হবে ধারাবাহিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে। শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর যোগ হবে চূড়ান্ত ফলাফলে।

তার আগে শিক্ষার্থীদের এসব কার্যক্রম কীভাবে বাস্তবায়ন হবে সে বিষয়ে শিক্ষা প্রশাসনের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের দুটি প্রস্তুতিমূলক সভা হবে। সভায় অঞ্চলের পরিচালক, উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক), জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তারা স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেবে। এরপর প্রধান শিক্ষকরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের নির্দেশনা দেবেন।

এনএম/এসকেডি