বিশেষ করে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছে আইসিটি ‘কঠিন’ বিষয় হওয়ায় চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এ বিষয়ে ২৫ নম্বর কমানো এবং প্রশ্নের অপশন বাড়ানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে জাতীয় মনিটরিং ও আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা’ শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শেষে এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাস অনুযায়ী তিনটি বিষয় বাদে সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও সময়ে অংশগ্রহণ করবে। একটি বিষয়ে পূর্ণ নম্বরে পরীক্ষা হবে না। সেটি হলো আইসিটি। আইসিটিতে ২৫ নম্বর থাকবে ব্যাবহারিকে, লিখিত পরীক্ষা ৭৫ নম্বরের পরিবর্তে ৫০ নম্বরে পরীক্ষা হবে। সেই ৫০ নম্বরের মধ্যে ২০ নম্বর হবে এমসিকিউ। অর্থাৎ ২৫টি প্রশ্নের মধ্যে তারা ২০টির উত্তর দেবে। কাজেই তাদের অপশন বাড়ছে।

তিনি বলেন, সিকিউ অর্থাৎ বড় প্রশ্নের ক্ষেত্রে আটটি প্রশ্ন থাকে, এর মধ্যে পাঁচটির উত্তর দিতে হয়। এবার আটটি প্রশ্নের জায়গায় তাদের তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। কাজেই তাদের অপশন অনেক বেড়ে গেল। অনেক সহজ হবে তাদের জন্য।

দীপু মনি বলেন, আমরা আশা করছি আইসিটি বইটির আগামী বছর ব্যাপক রিভিশন (পরিমার্জন) হবে। আমরা মনে করছি বিশেষ করে যারা মানবিক এবং ব্যবসায় শাখার শিক্ষার্থী, তাদের কারো কারো জন্য হয়ত আইসিটি বিষয়টি কঠিন হতে পারে। কাজেই এ বছর তাদের পরীক্ষা সহজ করার জন্য পূর্ণ নম্বরে নিচ্ছি না। মোট ৭৫ নম্বরে পরীক্ষা হচ্ছে। ২৫ নম্বর ব্যবহারিক এবং ২০ নম্বর এমসিকিউ (২৫টির মধ্যে ২০টির উত্তর দিতে হবে), আর ৩০ নম্বরের জন্য আটটি প্রশ্নের মধ্যে তিনটির উত্তর দিতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের সবগুলো শিক্ষা বোর্ড থেকে সব পরীক্ষার্থীকে অবহিত করা হবে। পাশাপাশি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে সব পরীক্ষার্থীকে জানিয়ে দেওয়া হবে।   

পরীক্ষা পেছানোর দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, আইসিটি পরীক্ষা নিয়ে তাদের দাবি আছে। আমরা তো আইসিটি পরীক্ষাটা সহজ করলাম। আশা করি আমাদের শিক্ষার্থীরা যারা বলছে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়, আশা করি তারা পরীক্ষায় অংশ নেবে।

এনএম/কেএ