দ্বাদশ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ বাড়ছে। সামনে এই উত্তাপ আরও বাড়তে পারে। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে রাজনৈতিক দলগুলোকে কর্মসূচি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেন, করোনায় হওয়া শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে আনতে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হয় এমন কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়া শোভনীয় নয়। রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণ করার এখতিয়ার রাজনৈতিক দলগুলোর আছে। আমার দাবি থাকবে, দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যেকোনো দলের কোনো কর্মসূচির কারণে যেন শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি না হয়, তা বিবেচনা করা দরকার দলগুলোর।

শুক্রবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

ডা. দীপু মনি বলেন, শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে যেকোনো রাজনীতির চেষ্টা করলে সেটা হবে অপরাজনীতি। আমরা আশা করব কোনো কর্মসূচির কারণে যেন আমাদের সন্তানদের পড়াশোনার ক্ষতি না হয়। সব রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুরোধ থাকবে এমন কোনো কর্মসূচি দেবেন না, যেন শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হয়।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে। সম্ভাব্য রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ৩০ নভেম্বরের আগে আমরা মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা ও ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বার্ষিক মূল্যায়ন শেষ করতে চাই। এসব ঘোষণা ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে। তাই বিষয়টি আপনারা বিবেচনা নেবেন।   

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির কাছ থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সম্মিলিত ফলাফলের পরিসংখ্যান গ্রহণ করে ফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাদ্রাসা ও কারিগরি বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, আন্তঃবোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকারসহ সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তারা।

এনএম/এমএ