ধাপে ধাপে নয়, টানা ছুটি দেওয়ার কৌশল খুঁজছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়
করোনাভাইরাসের কারণে একবছরের বেশি সময় পর আগামী ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা রয়েছে। তবে দেশে হঠাৎ করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আপাতত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে রাজি নয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে গত একবছর যেভাবে একমাস বা ১৫ দিন করে ছুটি বাড়ানো হয়েছিল সেই পদ্ধতির বাইরে গিয়ে এবার ভিন্নভাবে ছুটি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে মন্ত্রণালয়। তবে এ বিষয়ে এখনই কেউ মুখ খুলতে রাজি নন।
২৬ মার্চের পর করোনা মোকাবিলার জন্য গঠিত পরামর্শক কমিটি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেখানে ধাপে ধাপে ছুটি না দিয়ে যখনই পরিস্থিতি উন্নতি হবে তার একমাস বা ১৫ দিন আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দেওয়ার প্রস্তাব করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে এমন দোলাচলে থাকতে হবে না শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের। এছাড়া গুজব ঠেকানো যাবে।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, গত নভেম্বর থেকে করোনা পরিস্থিতি ভালোর দিকে যাওয়ায় পর ১৫ দিন করে ছুটি বাড়ানো হয়। যখন পরিস্থিতি ভালো হবে তখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে এমনটি ধরে এভাবে ছুটি দেওয়া হতো। ফেব্রুয়ারি মাসে যখন সংক্রমণের হার ৩ থেকে ৪ শতাংশে নেমে আসে তখনই ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়। ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ ঘোষণা দেন। কিন্তু এরপরই করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে শুরু করে। তখন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে আবারও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
এরইমধ্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি পুনর্বিবেচনা হতে পারে। একই কথা বলছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাবে কি না তা পর্যালোচনা করতে দুই-একদিনের মধ্যে বৈঠকে হবে। সেখানে সবার মতামত নিয়েই একটা সিদ্ধান্ত আসবে। তবে করোনার সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে তাতে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রাখার বিষয়টি আমরা অগ্রাধিকার দেব।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতি ঊর্ধ্বমুখী। বুধবার দেশে ৩ হাজার ৫৬৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। যা দেশে দৈনিক শনাক্ত রোগী বিবেচনায় গত বছরের জুলাই মাসের পর সর্বোচ্চ।
এনএম/এসএসএইচ