সদ্য প্রকাশিত কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার প্রাপ্ত ফল চ্যালেঞ্জ করেন ৩ হাজার ৮৮৬জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ৩৯৭ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। প্রকাশিত ফলে ফেল ছিল, তারপর খাতা চ্যালেঞ্জ করে নতুন করে পাস করেছেন ৩৫৮ জন, নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯ জন।

রোববার (১২ মার্চ) কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের প্রকাশিত পুনর্নিরীক্ষণের ফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে। তবে ৩ হাজার ৮৮৬ জন শিক্ষার্থী কতটি স্ক্রিপ্ট বা বিষয়ের খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করেছেন তা জানায়নি বোর্ড।

এর আগে শুক্রবার (১০ মার্চ) এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। দেশের ১০টি শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে ৯টি বোর্ডের প্রকাশ করা হয়। সেখানে প্রায় তিন হাজার পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩১৫ জন শিক্ষার্থী। ফেল থেকে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন একজন এবং ফেল থেকে নতুন করে পাস করেছেন ৩৯৯ জন শিক্ষার্থী। এছাড়াও বিভিন্ন গ্রেডে আরও ২ হাজার ৮৩৫ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে।

পুনর্মূল্যায়নে যেসব বিষয় দেখা হয়

বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন হওয়া উত্তরপত্রের চারটি দিক দেখা হয়। এগুলো হলো- উত্তরপত্রের সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে ওঠানো হয়েছে কি না ও প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কি না। এসব পরীক্ষা করেই পুনর্নিরীক্ষার ফল দেওয়া হয়। তবে পরীক্ষক কোনো প্রশ্নের উত্তরের জন্য যে নম্বর দিয়ে থাকেন সেটি পরিবর্তনের সুযোগ নেই।

যেমন- পরীক্ষক একটি প্রশ্নের উত্তরের জন্য ৬ নম্বর দিয়েছেন; সেটি ভুলবশত ৩ নম্বর হিসেবে গণনা করা হলো; এ ধরনের ভুল সংশোধন করা হয়। এক্ষেত্রে কোনোভাবে যাতে পরীক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা বিবেচনায় রাখা হয়। কিন্তু এই ৬ নম্বরের স্থলে ৮ করার সুযোগ নেই।

এনএম/জেডএস