শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তিতে আসন সংকট হবে না। মাধ্যমিকে যে পরিমাণে শিক্ষার্থী পাশ করে তার চেয়ে আমাদের আসন সংখ্যা বেশি রয়েছে। তাই মাধ্যমিকে পাশ করা সব শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার পরও আসন খালি থাকবে।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এসএসসি-সমমান পরীক্ষার ফল সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী বছর থেকে শিক্ষার্থী মূল্যায়ন পদ্ধতি বদলে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ শুরু করা হয়েছে। আগামীতেও ক্রমাগতভাবে এসব প্রশিক্ষণ চলবে। এছাড়া কারিগরি শিক্ষার দ্বার আমরা সবার জন্য উন্মুক্ত করছি। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বয়সের বাধা আমরা তুলে দিতে চাই। আশা করি সবাই এ বিষয়ে সহযোগিতা করবেন। দ্রুততার সঙ্গে এটি করলে শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে আর কোনো বাধা থাকবে না। 

দীপু মনি বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে অনলাইন শিক্ষায় আমরা এগিয়ে গেছি। সফলভাবে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ করানো সম্ভব হয়েছে। সব শিক্ষককে সরাসরি ও অনলাইনভিত্তিক নানান ধরণের প্রশিক্ষণ দেওয়া অব্যাহত থাকবে। 

তিনি বলেন, বিজ্ঞান নিয়ে অনেকের মধ্যে ভীতি কাজ করে বলে মানবিক বিভাগে শিক্ষার্থী বেশি হয়ে থাকে। অঙ্ক পারি না, বিজ্ঞান বুঝি না—এমন ধারণা থাকে। আমাদের উপযুক্ত শিক্ষকের অভাবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শিক্ষকের ওপরে অনেক কিছু নির্ভর করে থাকে। নতুন কারিকুলামে পড়ে-বুঝেই পরের ক্লাসে যেতে হবে। কেউ পারবে না বলে শিক্ষক তাকে বিজ্ঞানে পড়া থেকে বঞ্চিত করবে, সেই পরিস্থিতি থাকছে না। আমরা মনে করি শিক্ষার্থী বিজ্ঞানে যেতে চাইলে তাকে পড়তে দেওয়া উচিৎ। যদি সেখানে সে ভালো করতে না পারে তবে বিভাগ বদলাতে পারে। এখন বিজ্ঞানে পড়তে হবে। মানবিকে পড়লে যে আমি তথ্য প্রযুক্তি বা বিজ্ঞানে যেতে পারব না, এখন আর সেটি নেই। মানবিকে পড়ে অনেকে তথ্যপ্রযুক্তিতে ভালো করছে। যেকোনো বিভাগ থেকে ডিপ্লোমা করার সুযোগ রয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, কর্মসংস্থানের জন্য বেশি জরুরি হচ্ছে সফট স্কিল, এন্টারপ্রিনিয়রশিপ (উদ্যোক্তা) স্কিল প্রয়োজন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যায়ের সব বিভাগের কোর্সের মধ্যে ভাষা শিক্ষা, আইসিটি, সফট স্কিল, উদ্যোক্তা ও নৈতিকতা যুক্ত করতে বলা হয়েছে। প্রত্যেকে এই বিষয়গুলো বুঝে সনদ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হবে। যেকোনো বিভাগ থেকে এই দক্ষতাগুলো নিয়ে বের হলে যেকোনো কাজেই সফল হওয়া সম্ভব। 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে পাঠ্যপুস্তক তৈরিতে কাগজের সংকট দেখা দিয়েছে। বৈশিকভাবে এ সংকট রয়েছে। এখন কাগজের মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। কিছুটা সংকট আমাদের মধ্যেও তৈরি হয়েছে। এটি নিয়ে বড় ধরণের বিপর্যয় হবে না। আমরা আশা করি যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে পারব। 

এমএম/কেএ