পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি
৮৭ কোটি টাকার প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ৪০৯ কোটি টাকা
দেশের সব মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় ‘স্ট্রেংদেনিং রিডিং হ্যাবিট অ্যান্ড রিডিং স্কিলস অ্যামাং সেকেন্ডারি স্টুডেন্টস’ প্রকল্প হাতে নেয় সরকার।
তবে স্কিম ডকুমেন্টে বই খাতে ৮৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলেও বইয়ের মূল্য এবং সংখ্যা বৃদ্ধিজনিত কারণ দেখিয়ে ৪০৯ কোটি টাকার প্রয়োজন উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। মাউশির মাধ্যমিক উইং পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইনের সই করা এক সংশোধনী স্কিম ডকুমেন্টে এ প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, মন্ত্রী মহোদয়ের অভিপ্রায় অনুযায়ী দেশের প্রতিটি উপজেলার ও মহানগর এলাকার মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত করে স্কিম ডকুমেন্টের খসড়া সংশোধন প্রস্তুত করা হয়েছে। বর্তমানে ১৫ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরেও সম্ভাব্য ১৭ হাজার ৭০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে বিধায় পূর্বের তুলনায় শিক্ষার্থী ও বইয়ের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল প্রতিষ্ঠানে কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ৪৫ লাখ বইয়ের বাইরে আরও ৩৬ লাখ বই এবং পুরস্কারের জন্য ৩৮ লাখ বইয়ের বাইরে আরও ৩০ লাখ বই প্রয়োজন হবে।
প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়েছে, স্কিম ডকুমেন্টে বই খাতে বরাদ্দ আছে ৮৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। বইয়ের মূল্য এবং সংখ্যা বৃদ্ধিজনিত কারণে বই ক্রয় খাতে ৪০৯ কোটি টাকা প্রয়োজন। বই ক্রয়সহ অন্যান্য খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ সংযোজন/বিয়োজন করে ৩০ জুন ২০২৩ তারিখে স্কিম সমাপ্তির তারিখ অপরিবর্তিত রেখে স্কিম ডকুমেন্টের খসড়া সংশোধন প্রস্তুত করে এর সঙ্গে সংযুক্ত করে পাঠানো হলো। এমতাবস্থায় স্কিম ডকুমেন্ট সংশোধনের পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে থেকে স্কিমের কার্যক্রম শুরুর তারিখ দেওয়া হলেও ডকুমেন্ট অনুমোদন সংক্রান্ত জটিলতা এবং কোভিড ১৯ মহামারিজনিত কারণে স্কিমের কার্যক্রম শুরুর পূর্বেই দুই বছর অতিবাহিত হয় বলেও জানানো হয়েছে।
স্কিম ডকুমেন্টটি গত ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে অর্থ বিভাগের অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে মাউশির মাধ্যমিক উইং পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রকল্পটির কাজ চলমান আছে। প্রকল্পের আলোকে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় চাইলে অনুমোদন পাব, না চাইলে পাব না। এই মুহূর্তে এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।
এমএম/আরএইচ