সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলির নির্দেশিকা সংশোধন করা হয়েছে। বদলির শর্তের ৩.৩ ধারা শিথিল করা হয়েছে। এ ধারা অনুসারে পাঁচজনের কম শিক্ষক থাকা বা শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত ১:৪০ এর বেশি থাকা স্কুলগুলোর শিক্ষকরা বদলির আবেদনের সুযোগ পাননি। কিন্তু সংশোধিত নির্দেশিকা অনুসারে এ ধরণের স্কুলগুলো শিক্ষকদের প্রতিস্থাপন বা পদায়ন সাপেক্ষে বদলির সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংশোধিত নীতিমালা সোমবার (১৭ অক্টোবর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) থেকে জানা গেছে, দীর্ঘ তিন বছর বন্ধ থাকার পর গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলির আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। কিন্তু শিক্ষকরা বদলি নির্দেশিকার বিভিন্ন ধারার কারণে বদলি হতে পারছিলেন না। 

জটিলতা সৃষ্টির ফলে প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষকই বদলির আবেদন করতে পারেননি। দুই দফা সময় বাড়ানোর পর আবেদনের সংখ্যা না বাড়ায় ও শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নীতিমালা সংশোধন করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

নতুন সংশোধিত ধারা মতে, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ১:৪০ থাকার ধারা শিথিল করে দুই শিফটের বিদ্যালয়ের প্রথম-দ্বিতীয় ও তৃতীয়-চতুর্থ-পঞ্চম শ্রেণির মধ্যে যে শিফটে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি, সে শিফটের শিক্ষার্থী হিসাব করে ১:৪০ অনুপাত নির্ধারণ করা হবে।

এ নীতিমালা অনুসারে, চারজন শিক্ষক থাকা বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও বদলির আবেদন করতে পারবেন। তবে তা কার্যকর হবে ওই বিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষক পদায়ন হওয়ার পর অথবা শিক্ষক প্রতিস্থাপন সাপেক্ষে।

জেডএস