এমপিওভুক্তির দাবিতে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রার্থীরা
এমপিওভুক্তির দাবিতে আড়াই ঘণ্টা অবস্থান শেষে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ত্যাগ করেছেন শিক্ষকরা। মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে তারা অধিদপ্তরের ভেতরে অবস্থান নেয়।
সেখানে তারা এমপিওভুক্তির দাবি নিয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ওমর ফারুকের সঙ্গে দেখা করতে চান। কিন্তু তিনি তাদের সঙ্গে দেখা করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে তারা উপ-পরিচালক (এমপিও) নাজমুন নাহারের সঙ্গে দেখা করেন।
বিজ্ঞাপন
এমপিও প্রত্যাশী প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জানুয়ারিতে ৩য় গণবিজ্ঞপ্তির ফলের আলোকে ৩৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ পান। সেখানে কারিগরি শিক্ষকের সংখ্যা দেড় হাজার। তার মধ্যে ৮০০ জন আবেদন করলেও এমপিওভুক্ত হয়েছে মাত্র ২৭ জন। ফেব্রুয়ারি ও মার্চে এমপিও আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ শিক্ষকই এমপিওভুক্ত হতে পারেননি।
এ বিষয়ে কুতিকুড়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের শিক্ষক মো. আরিফ হোসাইন ঢাকা পোস্টকে বলেন, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে গত রমজানে প্রথমবার আবাস দেওয়া হয় যে মে মাসের মধ্যে তারা এমপিওভুক্তির কাজ শেষ করবেন। এ সময়ের মধ্যে শেষ না হলে তারা ২২ জুন দ্বিতীয়বার ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সব কাজ শেষ হবে বলে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু জুলাই মাস শেষ হলেও তারা এমপিওভুক্তির কাজ শেষ করতে পারেননি। কারও কারও ফাইল ৬ মাস হয়ে গেছে, তারা বারবার অধিদপ্তরে আসছে, কিন্তু কর্তৃপক্ষের মন গলছে না। এত সময় পেলেও ৮০০ ফাইল এমপিও করতে না পারা তাদের চরম ব্যর্থতা।
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি বা মার্চে এমপিও আবেদন করলেও যারা এমপিওভুক্ত হয়েছেন, তাদের দেওয়া হয়েছে জুন থেকে। এছাড়া মাদ্রাসা ও সাধারণ শিক্ষায় এডহক কমিটি দেওয়া হলেও আমাদের দেওয়া হচ্ছে না। এক্ষেত্রে এনটিআরসিএ থেকে সবকিছু চূড়ান্ত হলেও অধিদপ্তর থেকে এডহক কমিটি দেওয়া হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, এনটিআরসিএ ২০১৮ সালের আগের নীতিমালা অনুযায়ী অনেককে শিক্ষক হিসেবে সুপারিশ করেছে, কিন্তু সংশোধিত নীতিমালায় অনেক বিষয় বাদ যাওয়ায় সেসব বিষয়ে এমপিও দিচ্ছে না কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর।
মহাপরিচালকের দেখা না পেয়ে দুপুর ১টায় উপপরিচালক (এমপিও) নাজমুন নাহারের সঙ্গে দেখা করেন তারা। তারা নাজমুন নাহারকে তাদের দাবির বিষয়ে বিস্তারিত জানান।
সেখান থেকে বের হয়ে লাইটহাউজ টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের শিক্ষক রুহুল আমিন জানান, উপ-পরিচালক তাদের জানিয়েছেন এরই মধ্যে রংপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের এমপিওর ফাইল দেখা শেষ। ঢাকায় ৭৬টা, খুলনায় ৮৭টা, রাজশাহীতে ১৮টা সহ কুমিল্লা বিভাগে অল্প সংখ্যক ফাইল দেখা বাকি আছে। আগস্ট মাসের মধ্যে এমপিওভুক্তির সব কাজ শেষ করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। জুলাই মাস থেকে বেতন ধরা হবে।
এডহকের বিষয়ে উপপরিচালক জানিয়েছেন, তারা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। অনুমোদন হলেই কমিটি হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে জানতে উপপরিচালক নাজমুন নাহার ও মহাপরিচালক ওমর ফারুকের মোবাইল ফোনে কল ও ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি।
এএজে/এসএম