দীর্ঘ তিন বছর পর নতুন করে এমপিওভুক্ত হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের ২ হাজার ৭১৬ বেসরকারি নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

আজ (বুধবার) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির বিষয়ে জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, যোগ্যতা থাকার সাপেক্ষে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও’র প্রাথমিক তালিকা থেকে বাদ পড়েছে মনে করলে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কমিটির সভাপতির যৌথ স্বাক্ষরে ১৫ দিনের মধ্যে সচিব বরাবর আপিল আবেদন করতে পারবেন। কোনো মিথ্যা তথ্য ও প্রমাণ দাখিল করে এমপিওভুক্ত হলে পরবর্তী সময়ে তা প্রমাণ হলে দায়ী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, আজকের আদেশের আগ পর্যন্ত সারা দেশে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ২৬ হাজার ৪৪৮টি। সবশেষ ২০১৯ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতাভুক্ত ১ হাজার ৬৫১টি এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের আওতাভুক্ত ৯৮৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর বেসরকারি নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে (স্কুল-কলেজ) এমপিওভুক্ত করার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।  ১০ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়।

সে অনুযায়ী মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতায় ৪ হাজার ৬২১টি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৪ হাজার ৭২৯টি আবেদন পাওয়া যায়। এরপর সকল মানদণ্ডে ১ হাজার ৯৪১টি প্রতিষ্ঠান যোগ্য বলে বিবেচিত হয়। এর মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬৩০টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১,০৬৩টি (৬ষ্ঠ-১০ম ১০৩টি, ৯ম-১০ম ৯৬০টি), উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৩১টি (৬ষ্ঠ-১২শ ০৪টি, ৯ম-১২শ ০৩টি ও ১১শ-১২শ ১২৪টি), কলেজ ১১শ-১২শ ৯৯টি, ডিগ্রি কলেজ ১৮টি।

এছাড়া যোগ্যতা অর্জন করতে না পারা ৩২টি উপজেলাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অনুচ্ছেদ ২১ এর বিধান অনুযায়ী ২৯টি, অনুচ্ছেদ ২২ এর বিধান অনুযায়ী বিশেষ ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করে বাছাই করা ১০টি, হালনাগাদ স্বীকৃতির শর্ত শিথিল করে ২০১৯ সাল পর্যন্ত একাডেমিক স্বীকৃতি আছে এমন ৭১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৬৬৬টি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়, এক হাজার ১২২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৩৬টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১০৯টি উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ, ১৮টি ডিগ্রি কলেজ সহ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতায় ২ হাজার ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।

কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের আওতায় কারিগরিতে ২ হাজার ৫৪৪ এবং মাদরাসায় ১ হাজার ৩৫৯টি সহ মোট ৩,৯০৩টি আবেদন পাওয়া যায়। এর মধ্যে কারিগরিতে ২৯৫ ও মাদরাসায় ৩৫৩টি সহ মোট ৬৪৮টি প্রতিষ্ঠান যোগ্য বলে বিবেচিত হয়। আর কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নীতিমালার ৩৬ ধারা এবং মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নীতিমালার ২২ ধারা প্রয়োগ করে ১৭ প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের আওতায় ৬৬৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও করা হয়েছে। এর মধ্যে এসএসসি ভোকেশনাল অথবা দাখিল ভোকেশনাল ৯৭টি, এসএসসি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলোজি ২০০টি, ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার ২টি, দাখিল মাদরাসা ২৬৪টি, আলিম মাদরাসা ৮৫টি, ফাজিল মাদরাসা ৬টি, কামিল মাদরাসা ১১টি।

এএজে/এনএফ