পুঁজিবাজারে বড় পতন, আতঙ্কে বিনিয়োগকারীরা
বড় দরপতনের মধ্য দিয়ে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৬৪ পয়েন্ট, আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক কমেছে ২২৯ পয়েন্ট।
সূচকের পাশাপাশি কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম। এর ফলে গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতি ও বোরবার টানা দুদিন দরপতন হলো।
বিজ্ঞাপন
হঠাৎ এই দরপতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তারা হতাশ হয়ে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। ফলে কমেছে সূচক ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, রোববার ডিএসইতে ৩৮০টি প্রতিষ্ঠানের ১৯ কোটি ৮৮ লাখ ২৭ হাজার ৫৮৮টি শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে ২৭০টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির দাম।
তাতে ডিএসইর প্রধান সূচক ৬৪ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৯২৬ পয়েন্টে নেমে এসেছে। ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে কমেছে ৯ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ২৮ দশমিক ২৩ পয়েন্ট।
ডিএসইতে এদিন লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪১০ কোটি ৩৯ লাখ ৫৪ হাজার টাকার শেয়ার। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার শেয়ার; যা আগের দিনের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে।
এদিন সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ফরচুন সুজের শেয়ার। এরপর ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বিএসসি, জেনেক্স ইনফোসেস, সাইফ পাওয়ার, রহিমা ফুড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো এবং ইয়াকিন পলিমার লিমিটেড।
একই দিন অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২২৯ পয়েন্ট কমে ২০ হাজার ২৩০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সিএসইতে ৩১৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৭৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২১১, অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির দাম।
এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ৩৭ কোটি ৫৬ লাখ ৩৪ হাজার ১৬৬ টাকার শেয়ার। এর আগের লেনদেন হয়েছিল ৩৪ কোটি ৬৮ লাখ ৮৮ হাজার ৯২৪ টাকার শেয়ার।
এমআই/জেডএস