এক হাজার কোটি টাকার পারপেচ্যুয়াল বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব প্রত্যাহার করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড। এর পরিবর্তে প্রতিষ্ঠানটি নতুন করে ৫০০ কোটি টাকার নন-কনভার্টেবল কুপন বিয়ারিং সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যু করবে। কোম্পানি পরিচালনা পর্ষদ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রোববার (৩ অক্টোবর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

ডিএসইর ওয়েবসাইটে বলা হয়, চলতি বছরের ২০ জুন পারপেচ্যুয়াল বন্ড ইস্যুর মাধ্যম পুঁজিবাজার থেকে এক হাজার কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আবেদন করেছিল আইএফআইসি ব্যাংক। ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তের আলোকে সেই আবেদনটি প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

ব্যাংক এডিশোনাল টিয়ার-১ মূলধন সহায়তায় ব্যাসেল-৩ এর অধীনে বন্ড ইস্যু করতে চেয়েছিল। হাজার কোটি টাকার মধ্যে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে তারা ৯০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করতে চেয়েছিল। আর ১০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করতে চেয়েছিল পাবলিক অফারের মাধ্যমে।

এখন সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে নতুন করে নন-কনভার্টেবল কুপন বিয়ারিং সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ৫০০ কোটি টাকা উত্তোলনের আবেদন করবে ব্যাংকটি। বাংলাদেশ ব্যাংকের টায়ার-২ এর ব্যাসেল-৩ শর্ত পালন করতে এই বন্ড ইস্যু করবে।

১৯৮৬ সালের তালিকাভুক্ত ব্যাংকটি প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংক এরপর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন করবে। সংস্থা দুটির অনুমোদনের পর পুঁজিবাজার থেকে বন্ড ইস্যু করে টাকা উত্তোলন করতে পারবে। বর্তমানে ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ৪ হাজার কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৭০০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।

এমআই/এমএইচএস