৬ মাস ধরে বন্ধ সামিটের মদনগঞ্জ পাওয়ার প্লান্ট
ছয় মাস ধরে ১০২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা সম্পন্ন সামিট পাওয়ার লিমিটেডের মদনগঞ্জ পাওয়ার প্লান্টের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইর তথ্যমতে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেডের মদনগঞ্জ পাওয়ার প্লান্টের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির মেয়াদ গত ৩১ মার্চ শেষ হয়েছে। এরপর থেকে প্রায় ছয় মাস ধরে পাওয়ার প্লান্টটি বন্ধ রয়েছে। পাওয়ার প্লান্টটির ১০২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। এ প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে একটি প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে সামিট পাওয়ার।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) কাছে ৬৩১ কোটি ৪২ লাখ ৪৫ হাজার ৮১৯ টাকা পাবে বলে সামিট পাওয়ার জানিয়েছে। চুক্তি অনুসারে বিআরইবির কাছে কোম্পানিটি তিনটি পাওয়ার প্লান্টের অর্থ পরিশোধ বাবদ এ টাকা পাবে। যা কোম্পানিটিকে টাকা দিতে আদালত রায় দিয়েছেন। তবে বিআরইবি এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেছে।
সামিট পাওয়ার লিমিটেড শেয়ারহোল্ডারদের ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা শেয়ারপ্রতি ৩ টাকা ৫০ পয়সা করে লভ্যাংশ পাবেন।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ঘোষিত লভ্যাংশের বিষয়টি অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) দিন নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৫ ডিসেম্বর। ডিজিটাল প্লাটফর্মে এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ অক্টোবর।
কোম্পানির তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ২৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ছিল ৫ টাকা ১৭ পয়সা।
বিদায়ী বছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ৮ টাকা ৫৩ পয়সা। গত ৩০ জুন সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩৪ টাকা ৪৫ পয়সা।
এমআই/এসএসএইচ