ওয়ালটনের শেয়ারে ধস, কিনছে না বিনিয়োগকারীরা
‘সোনার হরিণ’ ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ার এখন আর কিনছেন না বিনিয়োগকারীরা। সোমবারের মতোই সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে কোম্পানিটির শেয়ার। মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, সোমবারও ক্রেতা শূন্য ছিল ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারের। ওই দিন দাম কমেছে ৮৯ টাকা ৮০ পয়সা। পর দিন আজ সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দিনের শুরুতে ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে শেয়ারটির।
বিজ্ঞাপন
সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রথম ঘণ্টায় দেখা গেছে, কোম্পানিটির প্রায় ২ লাখ শেয়ার বিক্রি করতে অর্ডার দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু বিপরীতে শেয়ার কেনার কোনো অর্ডার বসেনি। অর্থাৎ ওয়ালটনের শেয়ার কিনছেন না বিনিয়োগকারীরা।
শুধু তাই নয়, লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় শেয়ারটির দাম কমেছে ৮৪ টাকা ২০ পয়সা। ফলে দুই দিনে ১ হাজার ৪৩৭ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১৭৪ টাকা কমে ১ হাজার ২৬৩ টাকায় দাঁড়িয়েছে শেয়ারটির দাম।
গত রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নির্দেশনা দেয়, ওয়ালটনকে নতুন করে ৯ শতাংশ শেয়ার পুঁজিবাজারে ছাড়তে হবে। এ খবরে শেয়ারটির দাম কমছে।
বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়, আগামী এক বছরের মধ্যে ওয়ালটনকে ১০ শতাংশ ফ্রি ফ্লোট শেয়ার নিশ্চিত করতে হবে। অর্থাৎ বাজার দরে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করতে হবে। এ কারণে শেয়ারের কিনতে আগ্রহী নন বিনিয়োগকারীরা। আর তাতে শেয়ারের দাম কমছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
২০২০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের পরিশোধিত মূলধন ৩০২ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৩০ কোটি ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩। এর মধ্যে ৯৯ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ শেয়ারই রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৩৯, বিদেশি দশমিক ১০ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৪৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এমআই/এসএসএইচ