পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৯টি কোম্পানিতে কারসাজি হচ্ছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) বিএসইসির পরিচালক শেখ মাহবুব উর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

কোম্পানিগুলো হচ্ছে- আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, জিবিবি পাওয়ার, এমারেল্ড অয়েল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইনস্যুরেন্স, ন্যাশনাল ফিড মিল, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, ঢাকা ডায়িং, ফুওয়াং সিরামিক ও বিকন ফার্মা।

তদন্ত কমিটিকে কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধির হওয়ার পেছনে কোনো কারসাজি রয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে কোনো কারসাজি রয়েছে কি-না তাও দেখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সবমিলে এই তদন্ত কমিটিকে আগামী ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনের দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। এটা কেন বেড়েছে, কারা এই দাম বৃদ্ধির সঙ্গে জড়িত তা খতিয়ে দেখা হবে।

তিনি বলেন, কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করা হবে, হঠাৎ করে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বাড়ল কেন তা খতিয়ে দেখা হবে। কোম্পানিগুলোর মূল্য সংবেদনশীল তথ্য গোপন করেছে কি-না তাও দেখা হবে। এছাড়াও কোম্পানির কর্মকর্তা এবং উদ্যোক্তাদের যোগসাজশ রয়েছে কি-না তা খুঁজে বের করা হবে।

সর্বোপরি এই উদ্যোগের মাধ্যমে মার্কেটে একটি মেসেজ যাচ্ছে যে, কমিশন মার্কেট কঠোরভাবে অবজারভেশন করছে। এতে কেউ অবৈধ কর্মকাণ্ড করতে ভয় পাবে বলে মনে করেন তিনি।

বিএসইসির পরিচালক শেখ মাহবুব উর রহমান ছাড়াও তদন্ত কমিটিতে আছেন বিএসইসির সহকারী পরিচালক জিয়াউর রহমান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) অ্যাপ্লিকেশন সাপোর্ট বিভাগের প্রধান মইনুল হক। 

এমআই/এইচকে