ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ

দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদন বন্ধ থাকা দুর্বল মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ লিমিটেডকে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত করা হয়েছে।

কোম্পানিটি ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। তালিকাভুক্তির ১১ বছরের মাথায় তালিকাচ্যুত করা হলো।

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কোম্পানিটিকে তালিকাচ্যুত করে ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটে (ওটিসি) পাঠিয়েছে। একই কাজ করেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনার আলোকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কোম্পানিটি।

মঙ্গলবার বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনা বলা হয়, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় দুর্বল মৌলভিত্তি ও উচ্চ ঝুঁকি বিবেচনায় ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে ওটিসি মার্কেটে পাঠাতে বলা হয়েছে। যা আগামীকাল থেকে কার্যকর হবে।

কোম্পানির সূত্র মতে, পুঁজিবাজারে সর্বশেষ মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ার ১ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়। আর বুধবার ওটিসিতে কোম্পানির শেয়ারে কোনো ক্রেতা ছিল না।

‘জেড’ ক্যাটাগরিতে থাকা এ কোম্পানিট আর্থিক সঙ্কটের কারণে গত পাঁচ বছর ধরে কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। অর্থাৎ কোম্পানিটির বিমান আকাশে উড়েছে না।

১৪৯ কোটি ৬ লাখ টাকা বাজার মূলধনী ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ লিমিটেডের পরিশোধিত মূলধন এখন ৮২৮ কোটি ৯ লাখ টাকা।

বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা থাকা এ কোম্পানির ৮২ কোটি ৮০ লাখ ৯৮ হাজার ৪৮০টি শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার পরিচালকদের হাতে।

আর বাকি শেয়ারের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১১ দশমিক ০৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৮৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ শেয়ার।

ডিএসইর তথ্য মতে, সর্বশেষ ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা মুনাফা করে। ফলে লভ্যাংশ হিসেবে বিনিয়োগকারীদের প্রতি ১০০ শেয়ারে নতুন ১০টি শেয়ার দিয়েছিল। তার আগের বছর ১৩-১৪ অর্থবছরে ৫৮ কোটি ৭ লাখ টাকা মুনাফা করেছিল কোম্পানিটি।
তারও আগের বছর কোম্পানিটি ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৫৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা মুনাফা করেছিল। তাতে বিনিয়োগকারীদের প্রতি ১০০ শেয়ারে নতুন ১২টি শেয়ার লভ্যাংশ
দিয়েছিল।

এসএম