টানা দুদিন পতনের পর সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (২৮ জুলাই) দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে। এদিন ব্যাংক খাতের শেয়ারের দাম কমলেও বিমা, বস্ত্র, ওষুধ ও রসায়ন এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে।

ফলে লেনদেনে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সূচকের পাশাপাশি বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ‍মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ারের দাম বেড়েছে। সব মিলে বুধবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ২০ পয়েন্ট। তবে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কিছুটা কমেছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, লেনদেনের প্রথম আধা ঘণ্টায় ডিএসইতে মোট ৩৫৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩৩টির, কমেছে ৮২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৪টির। তাতে লেনদেন হয়েছে ২৪৮ কোটি ৭০ লাখ ৩ হাজার টাকা।

বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় তিন সূচকের মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৯ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩৯৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক এক পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৮৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক চার পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৩১২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এসময়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৫১টির বিমা কোম্পানিরই দাম বেড়েছে। একইভাবে দাম বেড়েছে ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ারেরও। এছাড়াও বস্ত্র, ওষুধ ও রসায়ন খাতের অধিকাংশ শেয়ারের দাম বেড়েছে।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৪ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৫১৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৩৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেড়েছে ৬৪টির, কমেছে ৪৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির শেয়ারের দাম। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৭৬ লাখ ৮৬ হাজার ৫৮৯ টাকা।

এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিত হয়ে লেনদেনে নিরুৎসাহিত করেছে ডিএসই ও সিএসই কর্তৃপক্ষ। যে কারণে অনেকে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেন করছেন।

এমআই/জেডএস