ডেল্টা লাইফের শেয়ারে কারসাজি সন্দেহে কমিটি
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার অস্বাভাবিক কেনাবেচা ও দরবৃদ্ধি হয়েছে। এই অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধিতে কোনো কারসাজি হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বুধবার (৭জুলাই) কমিশনের নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ডেল্টা লাইফের শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে কি না সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল ইসলামকে।
উল্লেখ্য, কোনো কারণ ছাড়াই গত দুই মাসে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার ৭০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা ছাড়ায়। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারের দাম বাড়ে ৯০ টাকার বেশি।
এই দুই মাসের মধ্যে গত ২৮ জুন সকালে লেনদেনের শুরুতে শেয়ারটি সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দামে এক কোটি পাঁচ লাখ শেয়ার কেনাবেচা হয়। তার আগের দিনও ১২ লাখের বেশি শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল।
ওই দিন শেয়ারে বিক্রেতা ছিল রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিনিয়োগ সংস্থা আইসিবি। ক্রেতা ছিলেন শেয়ারবাজারের বর্তমান আলোচিত বিনিয়োগকারী আবুল খায়ের হিরোসহ তিন ব্যক্তি। হিরো সরকারি কর্মকর্তা। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সমবায় অধিদফতরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
গত ২৮ জুন আবুল খায়ের হিরো শেয়ার কিনেছিলেন বলে স্বীকারও করেছেন, তিনি গত ২৭ ও ২৮ জুন দুইদিনই সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে নিজেই কিনেছেন ৩৫ লাখ শেয়ার। এর বাইরে তার এক ‘ক্লায়েন্টও’ শেয়ার কিনেছেন।
বিএসইসি মনে করছে, ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির শেয়ার পূর্বপরিকল্পনা করে গত ২৭ ও ২৮ জুনে সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে কেনাবেচা হয়েছিল, তা সন্দেহজনক। এরই প্রেক্ষিতে বিএসইসি কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধিতে কারসাজি হয়েছিল কি না তা খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করেছে।
কোম্পানিটি সর্বশেষ বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ২৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এই কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৩৬ শতাংশ শেয়ার।
এমআই/এনএফ