বিএমবিএর প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান

পুঁজিবাজারে লেনদেনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসিয়াল আইডি কার্ডকে (পরিচয় পত্র) মুভমেন্ট পাস হিসেবে বিবেচনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।

বুধবার (১৪ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে একটি চিঠির মাধ্যমে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

সংগঠনের সভাপতি ছায়েদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ মতিনের সই করা চিঠিতে বলা হয়, ব্যাংকের মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুঁজিবাজারে লেনদেন চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, ব্রোকার হাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক ও অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পুঁজিবাজার চলবে। ফলে ১৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে চালু হওয়া লেনদেনে এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিত হতে হবে।  

করোনার এ পরিস্থিতিতে বাসা থেকে অফিসে যাতায়াতের জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসিয়াল আইডি কার্ডকে মুভমেন্ট পাস হিসেবে বিবেচনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে বিএমবিএর প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলবে। ফলে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকার হাউজের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লেনদেন পরিচালনা করতে অফিসে উপস্থিত থাকবে হবে।

তিনি বলেন, মুভমেন্ট পাসের আবেদনের দীর্ঘ লাইন রয়েছে। যেহেতু সরকারি সিদ্ধান্ত, সেহেতু পুঁজিবাজারের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসিয়াল আইডি কার্ডকে মুভমেন্ট পাস হিসেবে বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছি।

১৪ এপ্রিল থেকে সাত দিনের বিধিনিষেধের মধ্যে যাদের একান্তই বাইরে যাওয়া প্রয়োজন হবে তাদের জন্য মুভমেন্ট পাসের ব্যবস্থা করছে বাংলাদেশ পুলিশ। তবে উদ্বোধনের দিন মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকেই পাস আবেদনের হিড়িক পড়েছে। একসঙ্গে এতো পাস আবেদনের চাপে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ সদর দফতরের সার্ভার। প্রতি ঘণ্টায় গড়ে পাঁচ হাজার মুভমেন্ট পাসের আবেদন করা হয়েছে বলে দফতর সূত্র জানিয়েছে।

এমআই/আরএইচ