লোকসানে মুখে পড়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড বা বেক্সিমকো। কোম্পানিটির ২০২৩ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অ-নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।

সোমবার (৬ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, নতুন অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বেক্সিমকো কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৭৯ পয়সা। তাতে টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির মোট লোকসান দাঁড়িয়েছে ৭০ কোটি ৭৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার বেশি। অথচ ২০২২ সালের একই সময়ে শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) ছিল ৩ টাকা ৮৩ পয়সা। অর্থাৎ ব্যবসায় বড় ধরনের ধস নেমেছে কোম্পানিটির।

লোকসানের বিষয়ে কোম্পানি পক্ষ থেকে বলা হয়, ডলার সংকট এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি কোম্পানির খরচ বেড়েছে। এসব কারণে কোম্পানির পণ্য রপ্তানি কমেছে। দেশীয় বাজারেও ডিমান্ড কমেছে। তাই ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে বেক্সিমকোর লোকসান হয়েছে ৭০ কোটি ৭৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

১৯৮৯ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির বর্তমান শেয়ার সংখ্যা ৮৯ কোটি ৫৯ লাখ ৪১ হাজার ৫১৪টি। কোম্পানিটির এই শেয়ারধারীদের ২০২২ সালে ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

বেক্সিমকোর পাশাপাশি একই গ্রুপের আরেক কোম্পানি শাইনপুকুর সিরামিকের মুনাফা কমেছে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৩ সালে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে মাত্র ১ পয়সা। যা ২০২২ সালের একই কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১০ পয়সা।

অর্থাৎ ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি মুনাফা কমেছে ৯ পয়সা করেছে। তবে হতাশার এই সময়ে গ্রুপটির আরেক কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মার মুনাফা কিছুটা বেড়েছে। ওষুধ খাতের এই কোম্পানিটির নতুন বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৪৮ পয়সা। যা ২০২২ সালের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ২৪ পয়সা।

মুনাফা বাড়ায় কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১০১ টাকা ৪০ পয়সা। যা ২০২২ সালের একই সময়ে ছিল ৯৪ টাকা ২৫ পয়সা।

এমআই/এমএ