আসছে লকডাউনেও ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দেশের পুঁজিবাজার খোলা থাকবে। দুই পুঁজিবাজারের অফিসিয়াল কার্যক্রম ও লেনদেন চালু থাকবে। ব্যাংক যদি লকডাউনে সীমিত আকারে লেনদেন চালু রাখে তবে পুঁজিবাজারেও সীমিত আকারে লেনদেন হবে। 
 
শনিবার (১০ এপ্রিল) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বলছে, চলমান নিয়ম অর্থাৎ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সময়ে রোববার লেনদেন হবে। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক আসন্ন লকডাউনে ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিলে বিএসইসিও পুঁজিবাজার খোলা রাখবে। সেটি ব্যাংকে যদি সীমিত আকারে হয় তবে পুঁজিবাজারও সীমিত আকারে চালু থাকবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেয়নি। 

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, লকডাউনের সময় ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু থাকলে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে পুঁজিবাজারের সব লেনদেন নিয়ম অনুযায়ী চালু থাকবে।

এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, কমিশনের কাছ থেকে নির্দেশনা এসেছে, ব্যাংকের লেনদেন হলে পুঁজিবাজারেও লেনদেন হবে।

শুক্রবার (৯ এপ্রিল) সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন দেওয়া হবে। এবার জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকবে, কোনো গাড়িও চলতে দেওয়া হবে না। কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে ঘরের বাইরে যাওয়াও। আর রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করে বিস্তারিত জানানো হবে।

এদিকে চলমান লকডাউনের মধ্যে ব্যাংকের লেনদেন চলছে সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। অফিসের অন্যান্য কার্যক্রম চলছে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অফিস হচ্ছে দুপুর ১টা পর্যন্ত।

এমআই/জেডএস