নতুন বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ব্যবসা ভালো করতে পারেনি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য মতে, ৩৫টি ব্যাংকের মধ্যে ৩৩টি ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে ২ হাজার ১৭০ কোটির মতো, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কম। মুনাফা কমে যাওয়ার জন্য ঋণ ও আমানত দুটোই কমে যাওয়া এবং মূল্যস্ফীতিকে দায়ী করছেন ব্যাংকার ও বিশ্লেষকরা।

২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর মুনাফা হয়েছিল ২ হাজার ২০৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এবার মুনাফা হয়েছে ২ হাজার ১৬৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। কমেছে ৩৮ কোটি ৮৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য মতে, ৩৫টি ব্যাংকের মধ্যে ১৪টির মুনাফা কমেছে। দুটি ব্যাংক আরও বেশি লোকসানে পড়েছে। আর দুটি ব্যাংক আগের মতো মুনাফা করেছে।

১৭টি ব্যাংক নতুন বছরে মুনাফা বৃদ্ধির তথ্য দিয়েছে। এর মধ্যে ৬টি ব্যাংক নামমাত্র মুনাফা বৃদ্ধি দেখিয়েছে। ১১টি ব্যাংক তুলনামূলক ভালো মুনাফা করেছে।

কী কারণে মুনাফা গত বছরের তুলনায় কমেছে এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কর্মকর্তারা। উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই সময়ে ব্যাংকগুলো যে পরিমাণ মুনাফা করেছে, সেটাকে মুনাফা বলতেই রাজি নন তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যাংক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। আমদানি কমে যাওয়ায় ডলার বিক্রি, এলসি কমিশন ও ব্যাংক গ্যারান্টি বাবদ ইনকামও কমেছে। কিছু ব্যাংক সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশ সুদ দিয়েও আমানত পাচ্ছে না। এই আমানত নিয়ে গ্রাহকদের ৯ শতাংশের বেশি সুদেও ঋণ দিতে পারছে না। ফলে খরচ বাড়ছে। এসব কারণে মুনাফাও কমেছে।

ব্যাংকগুলো ভালো মুনাফা করতে পারছে না বলে স্বীকার করেছেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ব্যাংকের মন্দ ঋণ বেড়েছে, পাশাপাশি বেড়েছে মূল্যস্ফীতি। এই দুই কারণে মুনাফা কমেছে।’

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে সবচেয়ে কম মুনাফা হয়েছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হাবিবুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি সেটিপ ধরেননি।

প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি সচিব আলী রেজার কাছে জানতে চাইলে তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘মুনাফা কম হওয়ার বিষয়টি বলতে পারব না।’

মুনাফা কমার দিকে এগিয়ে রয়েছে এবি ব্যাংক লিমিটেডও। বিষয়টি জানতে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারিক আফজালের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এরপর হোয়াটসঅ্যাপে কারণ জানতে চেয়ে ম্যাসেজ দেওয়া হয়। সেখানেও তিনি উত্তর দেননি।

একইভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে মিডল্যান্ড ব্যাংকের এমডি আহসান-উজ জামানের সঙ্গে। কিন্তু কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

তবে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাদের মোল্লা ঢাকা পোস্টকে বলেন, মুনাফা কমেছে এটা ঠিক। কিন্তু কী কারণে কমেছে তা সংশ্লিষ্ট বিভাগ বলতে পারবে। আমি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে কারণ জানাতে বলেছি।

এরপর একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি এবং ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফোন রিসিভ করেননি। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের এমডি জাফর আলমও মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ২০২২ সালে ব্যাংকগুলোর যে মুনাফা হয়েছে, তার বেশিরভাগই এসেছে ডলার বিক্রি থেকে। ২০২৩ সালে নানা কারণে ডলার কেনাবেচার পরিমাণ কমেছে। এ কারণে এ খাত থেকে মুনাফা কম হয়েছে।

দ্বিতীয়ত, ঋণ খেলাপি বাড়ায় বেশ কিছু ব্যাংকের একদিকে আমানত কমেছে, অন্যদিকে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে বিনিয়োগ কমেছে। এ কারণে মুনাফা কমেছে।

তৃতীয়ত, বেশ কিছু ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকের আস্থা নেই ফলে আমানতকারী ও ঋণ গ্রহীতার সংখ্যাও কমেছে। অন্যদিকে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা খরচ বেড়েছে। এসব কারণে মুনাফা কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ব্যাংকের প্রধান আয় হয় ঋণ দিলে। ঠিকভাবে ঋণ ও সুদের অর্থ আসার কথা। কিন্তু ব্যাংকগুলোর হয়তো সেভাবে ঋণের অর্থ আসেনি। উল্টো ব্যাংকগুলোর আমানত কমেছে, পাশাপাশি ঋণ দেওয়ার পরিমাণও কমেছে।

দ্বিতীয়ত, আমদানি কমেছে। কারণ অনেকে প্রয়োজনীয় এলসি খুলতে পারছে না। এ কারণে ব্যাংকগুলোর ‘অফ ব্যালেন্স শিট’ আইটেম (এলসি খোলা, গ্যারান্টি দেওয়া) থেকেও মুনাফা কমেছে। এছাড়া ব্যাংক গ্যারান্টি থেকেও আয় কমেছে।

তৃতীয় কারণ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নর বলেন, ব্যাংকগুলোর পরিচালন ব্যয় বাড়ায় মুনাফার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

ইসলামী ব্যাংকগুলোর মুনাফা কমার বিষয়ে তিনি বলেন, একসময় ব্যাংকগুলোর প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ছিল। এখন পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন আসার পর থেকে ব্যাংকগুলোর প্রতি মানুষের আস্থা কমেছে। ফলে আমানতের পরিমাণ কমেছে, ব্যাংকগুলো লোন দিতে পারছে না। আর তাতে মুনাফা কম হয়েছে।

এদিকে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান মনে করছেন ব্যাংকগুলোর মুনাফা কমেছে খেলাপি ঋণের কারণে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার সময় ব্যাংকের খেলাপি ঋণের ছিল ২১ হাজার কোটি টাকা। ৩০ মার্চ সময় পর্যন্ত এই ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকায়। এটা কোনোভাবেই কমছে না। এটা কেন হচ্ছে, কারা করছেন? দ্রুত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

তিনি বলেন, আমরা বার বার বলছি, আর্থিক খাতের সংস্কারের জন্য একটা ব্যাংকিং কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। কিন্তু সরকার এই উদ্যোগ নিচ্ছে না। যতদিন এই ঋণ খেলাপি বাড়বে। ততদিন ব্যাংক খাত ভালো করতে পারবে না।

নতুন বছরে ব্যাংক খাতে সবচেয়ে বেশি মুনাফা হয়েছে সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের। ব্যাংকটির এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চে কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১৪৭ কোটি ১৪ লাখ ৩২ হাজার ৭৮৮ টাকা। ২০২২ সালের একই সময়ে তাদের মুনাফা ছিল ১৫৫ কোটি ৭৯ লাখ ৮৭ হাজার ৬৫৮ টাকা। অর্থাৎ গেল বছরের তুলনায় মুনাফা কমেছে। তবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুনাফা হয়েছে এই ব্যাংকেরই।

১৪৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা মুনাফা নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সেলিম আর এফ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের ব্যাংকের বিনিয়োগ ৫০০ কোটি টাকার বেশি। সেই বিনিয়োগ থেকে হিসাব করলে প্রকৃত মুনাফা ৪ থেকে ৫ শতাংশ বেড়েছে। যেখানে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২৫-৩০ শতাংশ, সেখানে কেবল ৪ থেকে ৫ শতাংশ মুনাফা এসেছে। সুতরাং মুনাফা ভালো হয়নি। 

প্রকৃত পক্ষে ব্যাংকিং সেক্টরের অবস্থা ভালো নয়। মূল্যস্ফীতি মুনাফা খেয়ে ফেলছে, বলেন তিনি।

মুনাফার দিক থেকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পূবালী ব্যাংক। ব্যাংকটির মুনাফা হয়েছে ১৩৬ কোটি টাকা। ১৩৩ কোটি টাকা মুনাফা নিয়ে চতুর্থ স্থানে যমুনা ব্যাংক এবং ১৩ কোটি টাকা মুনাফা নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড।

জানতে চাইলে দ্য সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, কঠিন সময়ের মধ্যে ব্যাংকগুলোর আমানত কমছে। এখন কোনো বড় প্রতিষ্ঠান কিংবা কোম্পানি ব্যবসা সম্প্রসারণের কাজে হাত দেননি। এই মুহূর্তে উদ্যোক্তারাই লোন নিচ্ছে না। লোনের চাহিদা কমেছে। এ কারণে বিতরণ কমেছে। ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য বাড়ছে।

মুনাফা বেড়েছে যেসব ব্যাংকের

ব্র্যাক ব্যাংক

নতুন বছরের প্রথম প্রান্তিকে কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১৪৩ কোটি ৬৭ লাখ ২১ হাজার ৯১৫ টাকা। ২০২২ সালের একই সময়ে কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছিল ১১৫ কোটি ২৩ লাখ ৭০ হাজার ৭০৩ টাকা। বিদায়ী বছরেও ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা হয়েছিল ৬০১ কোটি ৬২ লাখ ৭৩ হাজার ১৮ টাকা।

পূবালী ব্যাংক

২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১৩৬ কোটি ৭৬ লাখ ৩১ হাজার ৩১০ টাকা। ২০২২ সালে কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছিল ১২২ কোটি ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ১১৯টাকা। বিদায়ী বছরে ব্যাংকটির মোট মুনাফা হয়েছিল ৫৬৪ কোটি ৫৩ লাখ ৩৫ হাজার ২৫৬ টাকা।

যমুনা ব্যাংক

প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা হয়েছে ১৩৩ কোটি ৩৬ লাখ ২১ হাজার ৬৫৭ টাকা। আগের বছর হয়েছিল ১২৮ কোটি ৮৬ লাখ ৬৮ হাজার ১১৮ টাকা। ব্যাংকটি জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সালে কর পরবর্তী মুনাফা করেছিল ১৫৮ কোটি ৮৩ লাখ ৫৮ হাজার ৩৭৮ টাকা।

ব্যাংক এশিয়া

২০২৩ সালে কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১৩২ কোটি ৯১ লাখ ৩৩ হাজার ৮২০ টাকা। ব্যাংকটির ২০২২ সালে কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছিল ১২৩ কোটি ৫৮ লাখ ৬১ হাজার ২৭২ টাকা।

ডাচ-বাংলা ব্যাংক

নতুন বছরের প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা হয়েছে ১২৫ কোটি ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ২০২২ সালের একই সময়ে মুনাফা হয়েছিল ১১২ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক

২০২৩ সালে কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১০৫ কোটি ৮৯ লাখ ৪০ হাজার ৭৬৩ টাকা। ২০২২ সালে কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছিল ১০১ কোটি ৫৭ লাখ ১৮ হাজার ৬৯১ টাকা।

এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক

২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা হয়েছে ৮০ কোটি ৮৮ লাখ ২৫ হাজার ৩৮১ টাকা। ২০২২ সালের একই সময়ে মুনাফা হয়েছিল ৬৩ কোটি ৪৩ লাখ ৭২ হাজার ৪৮৪ টাকা।

এনসিসি ব্যাংক

২০২৩ সালে মুনাফা হয়েছে ৭৪ কোটি ০২ লাখ ৮২ হাজার ৬৪ টাকা। ২০২২ সালেও মুনাফা হয়েছিল ৭০ কোটি ৮৫ লাখ ৫৫ হাজার ৬৮৯ টাকা।

প্রিমিয়ার ব্যাংক

৩ মাসে মুনাফা হয়েছে ৭৩ কোটি ৪৩ লাখ ২১ হাজার ৭৯২ টাকা। ২০২২ সালের একই সময়ে মুনাফা হয়েছিল ৬৭ কোটি ৬৯ লাখ ৫২ হাজার ৯০২ টাকা।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক

২০২৩ সালে মুনাফা হয়েছে ৬৭ কোটি ৩ লাখ ৮ হাজার ৯১৮ টাকা। ২০২২ সালে ছিল ৬৩ কোটি ৪৫ লাখ ৫৯ হাজার ১০৯ টাকা।

আইএফআইসি ব্যাংক

মুনাফা হয়েছে ৬২ কোটি ৫০ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টাকা। ২০২২ সালে ছিল ৩২ কোটি ১৪ লাখ ৬৩ হাজার ৯৬৯ টাকা।

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক

২০২৩ সালে মুনাফা হয়েছে ৫৭ কোটি ৩৬ লাখ ৫৫ হাজার ৪৩৮ টাকা। ২০২২ সালে মুনাফা ছিল ১৭ কোটি ৮৬ লাখ ৭৯ হাজার ৫৬৩ টাকা।

উত্তরা ব্যাংক

মুনাফা হয়েছে ৫৪ কোটি ৭১ লাখ ৭৮ হাজার ২০৪ টাকা। ২০২২ সালে মুনাফা হয় ৪৫ কোটি ৭০ লাখ ৫৪ হাজার ৭৩৫ টাকা।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক

মুনাফা হয়েছে ৪৬ কোটি ৪০ লাখ ৫৮ হাজার ৯২ টাকা। ২০২২ সালে মুনাফা হয়েছিল ৩৩ কোটি ৭৪ লাখ ৯৬ হাজার ৭৯৪ টাকা।

ইউনিয়ন ব্যাংক

প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা ৩৭ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার ৯৬১ টাকা। ২০২২ সালে ছিল ৩৬ কোটি ২৬ লাখ ৯৮ হাজার ১৫৭ টাকা।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক

২০২৩ সালে মুনাফা হয়েছে ১৫ কোটি ৫১ লাখ ২৩ হাজার ১৪৩ টাকা। ২০২২ সালে ছিল ১৩ কোটি ৩৪ লাখ ৪০ হাজার ৫৭ টাকা।

প্রাইম ব্যাংক

২০২৩ সালে ১০৪ কোটি ১৭ লাখ ৭৯৯ টাকা। ২০২২ সালের একই সময়ে মুনাফা হয়েছিল ১০৪ কোটি ১৭ লাখ ৭৯৯ টাকা।

দ্য সিটি ব্যাংক

২০২৩ সালে মুনাফা হয়েছে ৮৮ কোটি ৮৪ লাখ ৪৮ হাজার ৯৯০ টাকা। ২০২২ সালেও মুনাফা হয়েছিল ৮৮ কোটি ৮৪ লাখ ৪৮ হাজার ৯৯০ টাকা।

রূপালী ব্যাংক

নতুন বছরের প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা হয়েছে ১৭ কোটি ৬৫ লাখ ৮৪ হাজার ৯৪৭ টাকা। ২০২২ সালে মুনাফা হয়েছে ৯ কোটি ৭৫ লাখ ৮৬ হাজার ৪১৩ টাকা। ৮ কোটি টাকা বেড়েছে।

মুনাফা কমেছে যেসব ব্যাংকের

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড

২০২৩ সালে মুনাফা হয়েছে ৮ কোটি ৪৯ লাখ ৬৫ হাজার ৯৮২ টাকা। ২০২২ সালে মুনাফা হয়েছিল ১২ কোটি ৭৪ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭৩ টাকা।

এবি ব্যাংক

২০২৩ সালে কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১১ কোটি ১৯ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা। ২০২২ সালের একই সময়ে মুনাফা হয়েছিল ১৫ কোটি ৪৯ লাখ ৬৪ হাজার ৪৯০ টাকা।

সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক

২০২৩ সালে কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১৪ কোটি ০১ লাখ ১২ হাজার ৫৮১ টাকা। ২০২২ সালের একই সময়ে কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছিল ১৮ কোটি ১৩ লাখ ২২ হাজার ১৬৩ টাকা।

মিডল্যান্ড ব্যাংক

এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে নতুন প্রজন্মের মিডল্যান্ড ব্যাংক মুনাফা করেছে ১৭ কোটি ৯১ লাখ ৭ হাজার ৫১৩ টাকা। আর গত বছরের একই সময়ে মুনাফা হয়েছিল ১৯ কোটি ১৯ লাখ ৯২৬ টাকা।

সাউথইস্ট ব্যাংক

সাউথইস্ট ব্যাংক কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১৪৭ কোটি ১৪ লাখ ৩২ হাজার ৭৮৮ টাকা। ২০২২ সালে কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছিল ১৫৫ কোটি ৭৯ লাখ ৮৭ হাজার ৬৫৮টাকা।

ইসলামী ব্যাংক

২০২৩ সালে কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩৪ টাকা। ২০২২ সালে কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছিল ৮৩ কোটি ৭১ লাখ ৯৫ হাজার ১৪৭ টাকা।

আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক

মুনাফা হয়েছে ২০ কোটি ২৩ লাখ ৩১ হাজার ৪১৫ টাকা। গত বছর মুনাফা হয়েছিল ৫১ কোটি ১১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৯ টাকা।

ইস্টার্ন ব্যাংক

২০২৩ সালে কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১০৭ কোটি ৩০ লাখ ৯৭ হাজার ৫২৫ টাকা। ২০২২ সালে কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছিল ১১৯ কোটি ১১ লাখ ৩৮ হাজার ২৫৩ টাকা।

ট্রাস্ট ব্যাংক

মুনাফা হয়েছে ২৪ কোটি ৯০ লাখ ৮৪ হাজার ২০২ টাকা। ২০২২ সালে ছিল ৯০ কোটি ২৯ লাখ ৩০ হাজার ২৩৩ টাকা।

এক্সিম ব্যাংক

মুনাফা হয়েছে ২০ কোটি ২৬ লাখ ৫৮ হাজার ২৮ টাকা। ৩৬ কোটি ১৮ লাখ ৮৯ হাজার ৩৩৬ টাকা।

ওয়ান ব্যাংক

মুনাফা হয়েছে ২৭ কোটি ৪৬ লাখ ৭ হাজার ৮৯৪ টাকা। ২০২২ সালে ছিল ৪২ কোটি ১৭ লাখ ১৯ হাজার ২৬৬ টাকা।

ঢাকা ব্যাংক

মুনাফা হয়েছে ৫৯ কোটি ৮২ লাখ ৬৩ হাজার ৫৯৫ টাকা। ২০২২ সালে ছিল ৬৯ কোটি ৩২ লাখ ২৬ হাজার ৭০ টাকা।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক

মুনাফা হয়েছে ৩৮ কোটি ৭০ লাখ ২৩ হাজার ৫ টাকা। ২০২২ সালে ছিল ৫৫ কোটি ৪৩ লাখ ৮৪ হাজার ৩০৪ টাকা।

মার্কেন্টাইল ব্যাংক

২০২৩ সালে মুনাফা হয়েছে ৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৭৩ হাজার ৬৩ টাকা। ২০২২ সালে মুনাফা হয়েছে ৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা।

লোকসান বেড়েছে যে দুই ব্যাংকের 

আইসিবি ইসলামী ব্যাংক

২০২৩ সালে লোকসান হয়েছিল ১০ কোটি ৬৩ লাখ ৫২ হাজার ৩৬৮ টাকা। এর আগের বছর লোকসান ছিল ৮ কোটি ৬৪ লাখ ১১ হাজার ২৯৯ টাকা।

ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড

চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিকে ব্যাংকটির লোকসান হয়েছে ৩১২ কোটি ৩১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৮৩ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৫৭ কোটি ৯৫ লাখ ৫৩ হাজার ১২৩ টাকা।

এমআই/ওএফ