বিমার শেয়ারেই ৩০০ কোটি টাকার লেনদেন
বিমা খাতের শেয়ারের বিক্রির চাপে সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার (২৯ মে) দেশের পুঁজিবাজারে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে কমেছে ৭ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ৪ পয়েন্ট।
সূচকের পাশাপাশি এদিন দাম বাড়ার চেয়ে কমেছে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। তবে যথারীতি এদিনও প্রায় ২০০ কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত ছিল। ফলে বড় দরপতন থেকে রক্ষা পেয়েছে পুঁজিবাজার।
বিজ্ঞাপন
সূচক পতনের দিনে ডিএসইতে ১ হাজার ১৭৪ কোটি ৫৬ লাখ ১০ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে। যা চলতি বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন। এর আগের দিন রোববার সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১৭৪ কোটি ৫৮ লাখ ২৫ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের।
এদিন পৌনে ১২শ কোটি টাকার মধ্যে বিমা খাতের ৫৭টি শেয়ারে লেনদেন হয়েছে ২৯৯ কোটি ৩২ লাখ টাকার বেশি। অর্থাৎ প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।
ডিএসইর তথ্যমতে, সোমবার দিনভর সূচক ওঠানামার মধ্যদিয়ে ৩৮০ প্রতিষ্ঠানের মোট ২৩ কোটি ৯৯ লাখ ৮২ হাজার ৫৬৭ শেয়ার ও ইউনিট কেনা-বেচা হয়েছে। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৭ দশমিক ১৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরীয়াহ সূচক ১ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসই ৩০ সূচক ১ দশমিক ৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের শেয়ার। এরপর সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বসুন্ধরা পেপার মিলসের শেয়ার। পরের তালিকায় রয়েছে লাফার্জহোলসিমের শেয়ার। এছাড়া শীর্ষ ১০-এ ছিল যথাক্রমে- সি পার্ল হোটেল অ্যান্ড স্পা, ইউনিকি হোটেল, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, নাভানা ফার্মা, আমরা টেকনোলজিস এবং সানলাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ার।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক ৪ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৬৮১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন সিএসইতে ২২৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৭টির, কমেছে ৭৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৯৭টির দাম।
দিন শেষে সিএসইতে ১২ কোটি ৪৫ লাখ ৩ হাজার ৯৮৬ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৯ কোটি ২৮ লাখ ৭০ হাজার ৮৫১ টাকার।
এমআই/জেডএস