সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার
লেনদেন বেড়েছে দেড় হাজার কোটি টাকা
তিন কর্মদিবস উত্থান আর দুই কর্মদিবস দরপতনের মধ্যদিয়ে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পার করল দেশের পুঁজিবাজার। বিদায়ী সপ্তাহে ৭ মে থেকে ১১ মে মোট পাঁচ কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে। এ সময়ে দাম কমার বিপরীতে বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। তাতে লেনদেন ও সূচক উভয় বেড়েছে।
কিন্তু বড় মূলধনী কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন (পুঁজি) কমেছে ২১০ কোটি ৭৫ লাখ ৬০ হাজার ৭০৩ টাকা। সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ চিত্র দেখা গেছে। প্রায় একই চিত্র দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)।
বিজ্ঞাপন
রোববার (৭ মে) সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬৬ হাজার ৩১৭ কোটি ৫০ লাখ ৫৬ হাজার ৭৪ টাকা। আর শেষ দিন বৃহস্পতিবার (১১ মে) লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৬ হাজার ১০৬ কোটি ৭৪ লাখ ৯৫ হাজার ৩৭১ টাকা। অর্থাৎ টাকার অঙ্কে পুঁজি কমেছে ২১০ কোটি ৭৫ লাখ ৬০ হাজার ৭০৩ টাকা।
তবে এর আগের সপ্তাহের মূলধন বেড়েছিল ২৫৯ কোটি ৮০ লাখ ৯৬ হাজার ৮৬০ টাকা। তার আগের সপ্তাহে বেড়েছিল ২ হাজার ১৬৮ কোটি ৭১ লাখ ৬০ হাজার ১৮৮ টাকা। সব মিলে ঈদ পরবর্তী তিন সপ্তাহ পর মূলধন কমলো পুঁজিবাজারে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১১৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৪৭টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২২৬টির। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ৬৯টির, কমেছিল ৮১টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২৮১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এতে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩ দশমিক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৭২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক ৪ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৭২ পয়েন্টে ও ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ১০ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৯৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এ সপ্তাহে ফ্লোর প্রাইসের কারণে শেয়ার লেনদেন হয়নি দুই শতাধিক কোম্পানির। তারপরও বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৯৫৭ কোটি ৩৫ লাখ ৫৩ হাজার ৫৯১ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪০৮ কোটি ৩৫ লাখ ৩৮ হাজার ৪৮৫ টাকা। অর্থাৎ ১ হাজার ৫৪৯ কোটি ১৫ হাজার ১০৬ টাকার শেয়ার লেনদেন বেড়েছে, শতাংশের হিসাবে ৬৪ দশমিক ৩২ শতাংশ।
গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে লেনদেন হয়েছে, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের শেয়ার, ইস্টার্ন হাউজিং, রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা, অগ্নি সিস্টেমস, ইউনিক হোটেল, জেমিনি সি ফুড, আমরা নেটওয়ার্কস এবং জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের শেয়ার।
দেশের অপর পুঁজিবাজার সিএসইতে লেনদেনেও প্রায় একই চিত্র ছিল। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৪৯০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এসময়ে লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ৮৯ লাখ ৪২ হাজার ৫৬৯ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৬ কোটি ৫৬ লাখ ৭১ হাজার ৬১ টাকা।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৭টির, কমেছে ৪৮টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
এমআই/এফকে