দেশি ইউনিট হোল্ডারদের লভ্যাংশ দিলেও টানা আট বছর ধরে বিদেশি ইউনিট হোল্ডারদের লভ্যাংশ দিচ্ছে না এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট। এমন অভিযোগ আমলে নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

অভিযোগটি করেছেন যুক্তরাজ্যের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এলআর গ্লোবালের অংশীদার গেভিন উইলসন। তিনি প্রতিকার হিসেবে এলআর গ্লোবালের পার্টনার ও সিইও রিয়াজ ইসলামের শেয়ার কিনে নিতে চান। তার অভিযোগ কমিশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। 

বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে নাম না প্রকাশ শর্তে বিএসইসির এক নির্বাহী পরিচালক ঢাকা পোস্টকে বলেন, এলআর গ্লোবালের বিদেশি ইউনিট হোল্ডার প্রতিষ্ঠানটির চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার (সিআইও) রিয়াজ ইসলামের কর্মকাণ্ডে নাখোশ হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি কমিশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ দেখভাল করছে।

তিনি বলেন, চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি এ সংক্রান্ত অভিযোগ বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের ই-মেইলে পাঠান। একই অনুলিপি কমিশনার ড. মিজানুর রহমানের কাছেও পাঠানো হয়।

অভিযোগে গেভিন উইলসন নিউইয়র্কভিত্তিক প্রাইভেট বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এলআর গ্লোবালের ৪৭ দশমিক ৭০ শতাংশ ইউনিটহোল্ডার বলে দাবি করেন, যে প্রতিষ্ঠানের সিইও গত আট বছরে দেশি ইউনিট হোল্ডারদের লভ্যাংশ দিলেও তার মালিকানার ৪৭ শতাংশের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। রিয়াজ ইসলামের কর্মকাণ্ডে আমি নাখোশ। তার প্রতিকার হিসেবে রিয়াজ ইসলামের পুরো শেয়ার কিনে নিতে চাই।

অভিযোগে আরও বলা হয়, এলআর গ্লোবাল ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার, অর্থনীতি এবং বিনিয়োগের সুযোগের ওপর আস্থা রেখে কাজ করছে। কিন্তু এখন বাংলাদেশের উন্নয়নে একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইন্ডাস্ট্রি দরকার।

এবিষয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এলআর গ্লোবালের অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি নিয়ম বহির্ভুতভাবে কোনো প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করলে আইনের মাধ্যমে ফিরে আনার চেষ্ঠা করা হবে।

এলআর গ্লোবালের অধীনে ছয়টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড রয়েছে। এগুলো হলো- ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, গ্রিন ডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এআইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এমবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান এবং এনসিসিবিএল ফান্ড ওয়ান। এগুলোতে প্রায় ৯০০ কোটি টাকার ফান্ড রয়েছে।

এমআই/জেডএস