ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেওয়া ১৬৯ প্রতিষ্ঠানের ওপর আবারও ফ্লোর প্রাইস আরোপ করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বুধবার (১ মার্চ) বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়ত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। এ আদেশ বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) থেকে কার্যকর হবে।

তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন>>>

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, গত ২১ ডিসেম্বর তুলে দেওয়া ১৬৯ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস আবারও আরোপ করা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, ১৬৯টির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হবে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ এই চার কর্মদিবসের সর্বশেষ প্রাইসের এভারেজ দামের ভিত্তিতে।

কোম্পানিগুলোর শেয়ারের ওপেনিং প্রাইস হবে গত ২৮ জুলাই নির্ধারিত ফ্লোরপ্রাইস অথবা গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত ৪ দিনের গড় মূল্যের মধ্যে যেটি কম, সেটি। একইসঙ্গে এটি হবে নতুন ফ্লোরপ্রাইস।

২০২২ সালের ২৮ জুলাই আরোপিত সার্কুলারে আগের ৪ কার্যদিবসের গড় মূল্যকে ফ্লোরপ্রাইস ও সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্নসীমা ঘোষণা করা হয়।

এর আগের বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা ও পুঁজিবাজারের লেনদেনে গতি ফেরানোর কথা বলে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর ১৬৯টি প্রতিষ্ঠানের (কোম্পানির ও মিউচুয়াল ফান্ড) ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় বিএসইসি। তার ঠিক দুই মাস ১০ দিন পর আবারও ১৬৯ প্রতিষ্ঠানে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করলো বিএসইসি। এসব প্রতিষ্ঠান বাজার মূলধন বাজারের মোট মূলধনের প্রায় ৫ শতাংশ।

২১ ডিসেম্বর বলা হয়েছিল, ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম একদিনে সর্বোচ্চ ১ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না। তবে নিয়ম অনুযায়ী, এসব প্রতিষ্ঠানের দাম এক দিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারবে। এখন আর এসব শর্ত কিছু থাকবে না।

এর সাত মাস আগে দরপতন ঠেকাতে গত বছরের ২৮ জুলাই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সব কোম্পানিতে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করেছিল। যা ২৯ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছিল।

এমআই/এসএম