বিনিয়োগকারীদের পুঁজি নেই ৩ হাজার কোটি টাকা
দুদিন উত্থান আর তিনদিন সূচক পতনের মধ্য দিয়ে ভাষার মাসের আরও একটি সপ্তাহ পার করেছে দেশের পুঁজিবাজার। বিদায়ী এ সপ্তাহে উভয় বাজারে কমেছে সূচক, লেনদেন এবং লেনদেন হওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
তাতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন অর্থাৎ পুঁজি কমেছে ৩ হাজার ২০১ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহেও মূলধন কমেছিল ২৮৮ কোটি টাকা। সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ চিত্র দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ কোটি টাকা। আর শেষ দিন বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকায়। অর্থাৎ টাকার অংকে পুঁজি কমেছে ৩২০১ কোটি টাকা। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) প্রায় একই চিত্র দেখা গেছে।
বিদায়ী (১২ ফেব্রুয়ারি-১৬ ফেব্রুয়ারি) সপ্তাহে মোট পাঁচ কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম কর্মদিবস সূচক পতন, এরপর কর্মদিবস সূচক বৃদ্ধি হয়েছে। তবে দুই কর্মদিবস মঙ্গল ও বুধবার সূচক পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়। শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে সূচকের ইতিবাচক প্রবণতার মধ্য দিয়ে।
এসময়ে ডিএসইতে মোট ৩৭৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ২৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৫১টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ১৯৭টির। তার আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ৪২টির, কমেছিল ১৩৮টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২০০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া অধিকাংশ শেয়ারের দাম কমায় বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩৭ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৪৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক দুই পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৬৬ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ১১ দশমিক ১৬ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ২২৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১১১ কোটি ১৯ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৯ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ২৪৩ কোটি ৬৬ লাখ ৭৯ হাজার ১৭২ টাকা। অর্থাৎ ১ হাজার ১৩২ কোটি টাকা লেনদেন কমেছে, শতাংশের হিসেবে ৩৪ দশমিক ৯১ শতাংশ কমেছে।
গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে লেনদেন হয়েছে জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড, শাইনপুকুর সিরামিকস, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, সোনালী পেপার, রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা, এপেক্স ফুটওয়ার, জেমিনি সি ফুড, ওরিয়ন ইনফিউশন এবং আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেডের শেয়ার।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই অবস্থায় লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক ১০৮ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৪২৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এসময়ে লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ৫২ লাখ ৮১ হাজার ৯৬৪ টাকা। যা এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৫ কোটি ৩৪ লাখ ৫৮ হাজার ৬৫২ টাকা।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৯টির, কমেছে ৯৮টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১০৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
এমআই/এফকে