এবারও মুনাফার মুখ দেখেনি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি শ্যামপুর সুগার মিলস লিমিটেড। দুই বছর ধরে উৎপাদন বন্ধ থাকা কোম্পানিটি গত জুলাই ২০২১ থেকে ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। এতে হতাশ হলেন বিনিয়োগকারীরা।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, রোববার কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সর্বশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেখা গেছে, বিদায়ী বছরে কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৫৩ টাকা ০৩ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটির লোকসান ছিল ১২৫ টাকা ১৪ পয়সা। লোকসানে থাকায় এবারও শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করনি সরকারি এই প্রতিষ্ঠান।

পরিচালনা পর্ষদ সভায় নেওয়া প্রস্তাব শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভার দিন ২৭ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ নভেম্বর।

বিদায়ী বছরের লোকসানের পর আসছে অর্থবছরে আরও বড় লোকসানের মধ্যে পড়ছে কোম্পানিটি। প্রতিষ্ঠানটির ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকেও কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান দেখানো হয়েছে ১৯ টাকা ৩০ পয়সা।

সার্বিক বিষয়ে জানতে কোম্পানি সচিব শাফনাজ উম্মে রুমানার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর বন্দরে ১৯৬৪ সালে নির্মাণ হয় শ্যামপুর সুগার মিল। ১১১ দশমিক ৪৫ একর জমির ওপর নির্মিত এই মিলে আনুষ্ঠানিকভাবে মাড়াই শুরু হয় ১৯৬৭ সালে। এরপর ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় কোম্পানিটি। তালিকাভুক্ত হওয়ার পর ২০০০ সাল পর্যন্ত মুনাফায় ছিল কোম্পানিটি। তারপর থেকে লোকসানে নিমজ্জিত। অর্থাৎ গত ২২ বছর ধরে লোকসানে পড়ে আছে শ্যামপুর সুগার মিলস।

এমআই/এমএইচএস