আবারও লভ্যাংশ না দিয়ে শেয়ারহোল্ডারদের হতাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে) নেতৃত্বে আমানতকারীদের অর্থ লুটে নেওয়া কোম্পানিটি জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সমাপ্ত বছরের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা লোকসান দেখিয়েছে।

তাই কোম্পানিটির সমাপ্ত বছরের এই নিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিচালনা পর্ষদ।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানটির আর্থিক প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, বিদায়ী বছরে কোম্পানটির লোকসান হয়েছে ২৯৭ কোটি ২৬ লাখ ২ হাজার ৬৩৮ টাকা। এর আগের বছর হয়েছিল ২১৭ কোটি ৮০ লাখ ২০ হাজার ২৮৮ টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের চেয়ে ৭৯ কোটি ৪৫ লাখ ৮২ হাজার ৩৫০ টাকা লোকসান বেড়েছে।

ফলে গেল বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ১৯ টাকা ৯৪ পয়সা লোকসান হয়েছে। আগের বছর শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল ১৪ টাকা ৬১ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের চেয়ে ৫ টাকার বেশি লোকসান দেখিয়েছে।

পর্ষদ ঘোষিত সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ১ ডিসেম্বর। ওদিন দুপুর ১২টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ নভেম্বর।

২০০৮ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানটি সর্বশেষ ২০১৮ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ বোসান শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছিল। তারপর থেকে টানা তিন বছর শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। বর্তমানে কোম্পানিটির ৩৪৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকার রির্জাভ ঋনাত্মক রয়েছে।

এদিকে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের শেয়ার প্রতি ১৩ টাকা ২০ পয়সা লোকসান হয়েছে। যা ২০২১ সালের একই সময় লোকসান ছিল ৪ টাকা ৭৫ পয়সা। অর্থাৎ ২০২১ সালে তুলনায় ২০২২ সালে লোকসান বেড়েছে তিন গুণের বেশি।

কোম্পানিরিটি চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান দেখিয়েছে ৬ টাকা ৬৬ পয়সা। যা এর আগের বছর একই সময় ছিল দুই টাকা ৩১ পয়সা।

এমআই/এসএম