আবুল খায়ের হিরো

পুঁজিবাজারে শেয়ার কারসাজির দায়ে আলোচিত বিনিয়োগকারী আবুল খায়ের হিরোর বাবা মো. আবুল কালাম মাতব্বর ও তার সহযোগী এবং ডিআইটি কো-অপারেটিভ লিমিটেড ও এর সহযোগীদের ৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ জরিমানা করেছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিডিকম অনলাইন লিমিটেড ও ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ার কারসাজির দায়ে আগস্ট মাসে তাদের এ জরিমানা করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির কমিশনার মো. আব্দুল হালিম। তিনি বলেন, ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার কারসাজির দায়ে আবুল কালাম মাতব্বর ও তার সহযোগীদের তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ ছাড়া বিডিকমের শেয়ার কারসাজির দায়ে ডিআইটি কো-অপারেটিভ লিমিটেড ও তাদের সহযোগীদের ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বিএসইসির তথ্য মতে, বিএসইসির নির্দেশে গত বছরের ১৫ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে (১৫ দিন) ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ার কারসাজি তদন্ত করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। তদন্ত প্রতিবেদনে শেয়ার কারসাজির প্রমাণ পায় ডিএসই।

এই তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিএসইসি আবুল কালাম মাতব্বর ও তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানের কাছে কারসাজির বিষয়ে জানতে শুনানিতে আহ্বান করে। তাদের পক্ষে গত ৫ জুন শুনানিতে আবুল খায়ের হিরো বক্তব্য দাখিল করেন।

বক্তব্য থেকে প্রমাণিত হয় যে, কারসাজির অভিযোগ সত্য। যা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭ (ই) (ভি) এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড কমিশন আইন ১৯৯৩ এর ধারা ১৮ লঙ্ঘন। যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

তাই সিকিউরিটিজ আইন ও বিধি বিধান পরিপালনে আলোচ্য ব্যর্থতার জন্য, পুঁজিবাজারের শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা এবং জনস্বার্থে আবুল কালাম মাতব্বর এবং তার সহযোগীদের ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

একইভাবে বিএসইসির নির্দেশে চলতি বছরের ৭ মার্চ থেকে ১০ মার্চ তিনদিনে বিডিকম অনলাইন লিমিটেডের শেয়ার কারসাজি তদন্ত করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। তদন্ত প্রতিবেদনে শেয়ার কারসাজির প্রমাণ পায় ডিএসইর। এই তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিএসইসি আবুল কালাম মাতা এবং তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে কারসাজির বিষয়ে জানতে শুনানিতে আহ্বান করে। শুনানিতে কোম্পানির পক্ষ থেকে আবুল খায়ের হিরো বক্তব্য দাখিল করেন।

বক্তব্য থেকে প্রমাণিত হয় যে, কারসাজির অভিযোগ সত্য। যা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭ (ই) ও (ভি) এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড কমিশন আইন ১৯৯৩ এর ধারা ১৮ লঙ্ঘন। যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

তাই সিকিউরিটিজ আইন ও বিধি বিধান পরিপালনে আলোচ্য ব্যর্থতার জন্য পুঁজিবাজারের শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা এবং জনস্বার্থে ডিআইটি কো-অপারেটিভ লিমিটেড, এবং তার সহযোগীদের ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

উভয় পক্ষ থেকে এই টাকা আদেশের ৩০ দিনের মধ্যে বিএসইসির ইস্যুকৃত ব্যাংক ড্রাফট-পে অর্ডারের মাধ্যমে জমা করতে হবে। অন্যথায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

এমএই/আরএইচ/এমএ