আধা ঘণ্টায় সূচক বাড়ল ১০৫ পয়েন্ট
ফ্লোর প্রাইস (দরপতনের সর্বনিম্ন সীমা) আরোপের পর প্রথম কর্মদিবসে রোববার সূচকের তেজিভাবের মাধ্যমে লেনদেন শুরু হয়েছে। সর্বশেষ পাঁচ কর্মদিবসের অ্যাডজাস্টমেন্ট (দর সমন্বয়) ও বড় মূলধনী কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় সূচক বেড়েছে।
এ দিন লেনদেনের প্রথম আধা ঘণ্টায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ১০৫ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ১৪৭ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম। লেনদেনে দেখা দিয়েছে ধীরগতি।
বিজ্ঞাপন
ডিএসইর তথ্য মতে, সকাল ১০টা থেকে সকাল ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অর্থাৎ আধা ঘণ্টায় ডিএসইতে ৩৭০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১০টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির দাম।
লেনদেনের প্রথম আধা ঘণ্টায় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০৫ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ২২পয়েন্ট। ডিএস-৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৬ পয়েন্ট বেড়েছে।
আরও পড়ুন: দরপতন ঠেকাতে আবারও ফ্লোর প্রাইস আরোপ
এসময়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৬ কোটি ৭৩ হাজার টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৩ কোটি ৪২ লাখ ৪৪ হাজার টাকার শেয়ার।
একই অবস্থায় লেনদেন হচ্ছে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। প্রথম ৩০ মিনিটে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৪৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৭ হাজার ৭৪৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৬৩ লাখ ২৪ হাজার ৮৫৩ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৯৬ লাখ ৪৩ হাজার ৪২৮ হাজার টাকা।
সিএসইতে ৭৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৭১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, অপরিবর্তিত রয়েছে দুটির দাম।
চলমান দরপতন ঠেকাতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) আবারও ফ্লোর প্রাইস (দরপতনের সর্বনিম্ন সীমা) আরোপ করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। যা আগামী আজ রোববার থেকে কার্যকর হবে।
বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়, চলমান ক্ষতি থেকে বিনিয়োগকারীদের রক্ষায় নতুন করে প্রতিটি সিকিউরিটিজের ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হলো। ফ্লোর প্রাইসের দর নির্ধারণ করা হবে সর্বশেষ পাঁচ দিনের ক্লোজিং প্রাইসের ওপর ভিত্তি করে।
ফলে রোববার থেকে সিকিউরিটিজের দর স্বাভাবিক হারে ওঠানামা করতে পারবে। তবে ফ্লোর প্রাইসের নিচে নামতে পারবে না। কোম্পানির বোনাস শেয়ার বা রাইট শেয়ারের কারণে ফ্লোর প্রাইসে থাকা সিকিউরিটিজের দর সমন্বয় হবে।
এদিকে নতুন শেয়ারের ক্ষেত্রে প্রথম দিনের লেনদেনের ক্লোজিং প্রাইসকে ফ্লোর প্রাইস হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এর আগে ২০২০ সালে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করেছিল বিএসইসি। সে সময় করোনা ইস্যুতে পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতন হয়েছিল। এরপর তিন ধাপে বর্তমান কমিশন ফ্লোর প্রাইস তুলে নিয়েছিল।
এমআই/এসএসএইচ